বিশ্বজমিন
আট বছরে ৩৩ খুন, ঘাতক গ্রেপ্তার
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার, ১:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভারতের মধ্যপ্রদেশের একজন দর্জি আদেশ খামরা (৪৮)। সবাই তাকে শান্তশিষ্ট হিসেবে চেনেন। কিন্তু গত আট বছরে এই দর্জিই ৩৩ জন ট্রাক চালককে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে সে এই অপরাধ ঘটিয়ে বেড়িয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁর সামনে ট্রাকচালকরা যখন ট্রাক থামিয়ে খাবার খেতে নামতেন বা হোটেলে অবস্থান করতেন তখন আদেশ খামরা তাদের খাবারে মিশিয়ে দিতো নেশা দ্রব্য। ট্রাক চালকরা সেই খাবার খেয়ে ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে আদেশ খামার ওই ট্রাক বা লরি নিয়ে পালিয়ে যেত। দূরে নিয়ে তা বিক্রি করে দিতো। আর চালকরা ঘুমে অচেতন হয়ে গেলে তাদেরকে হত্যা করে দূরের বনের মধ্যে ফেলে রেখে দিতো।
এমন অভিযোগে আদেশ খামারকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ প্রায় ১৫ দিন আগে। যদি তার স্বীকারোক্তি সঠিক হয় তাহলে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খুনির মধ্যে অন্যতম হয়ে থাকবে আদেশ খামার। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়, আদেশ খামারের হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় ২০১০ সালে। এ সময়ের মধ্যে সে কয়েক ডজন ট্রাকের চালক ও তাদের সহযোগিকে হত্যা করেছে। সাম্প্রতিক এসব হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তার নাম খুঁজে পায়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে নি। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত থাকায় আগেই ৭ জনকে পুলিশ আটক করেছিল।
তারা পুলিশে কাছে স্বীকার করেছে যে, ডাকাতি করার সময় তাদেরকে সহায়তা করতো আদেশ খামার। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আদেশ খামার বলেছে, রাস্তার পাশের ক্যাফে বা রেস্তোরাঁগুলো থাকতো তাদের টার্গেট। সেখানে ট্রাক চালকরা খাবার খেতে নামলে তাদেরকে আলাদা করে ফেলতো তারা। এরপর তার খাবারে মাদক মিশিয়ে দিতো। অপেক্ষা করতো কখন ট্রাকচালক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকবে। ঘুমে অচেতন হয়ে যাওয়ার পর সে ওই ট্রাকচালক ও তার সহযোগিকে হত্যা করে বনের ভিতর মৃতদেহ রেখে দিত। ট্রাক চালিয়ে নিয়ে চলে যেতো প্রত্যান্ত এলাকায়। সেখানে যেয়ে সহযোগিদের সহায়তায় বিক্রি করে দিতো ট্রাক, তাতে থাকা পণ্যসামগ্রী।
আদেশ খামারকে আটকের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ, তার প্রতিবেশীরা তাকে একজন শান্ত, ভদ্র মানুষ বলে জানতেন। এক প্রতিবেশী বলেছেন, তার হাতে এত রক্তের দাগ একথা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই।
এমন অভিযোগে আদেশ খামারকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ প্রায় ১৫ দিন আগে। যদি তার স্বীকারোক্তি সঠিক হয় তাহলে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খুনির মধ্যে অন্যতম হয়ে থাকবে আদেশ খামার। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়, আদেশ খামারের হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় ২০১০ সালে। এ সময়ের মধ্যে সে কয়েক ডজন ট্রাকের চালক ও তাদের সহযোগিকে হত্যা করেছে। সাম্প্রতিক এসব হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তার নাম খুঁজে পায়। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে নি। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত থাকায় আগেই ৭ জনকে পুলিশ আটক করেছিল।
তারা পুলিশে কাছে স্বীকার করেছে যে, ডাকাতি করার সময় তাদেরকে সহায়তা করতো আদেশ খামার। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আদেশ খামার বলেছে, রাস্তার পাশের ক্যাফে বা রেস্তোরাঁগুলো থাকতো তাদের টার্গেট। সেখানে ট্রাক চালকরা খাবার খেতে নামলে তাদেরকে আলাদা করে ফেলতো তারা। এরপর তার খাবারে মাদক মিশিয়ে দিতো। অপেক্ষা করতো কখন ট্রাকচালক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকবে। ঘুমে অচেতন হয়ে যাওয়ার পর সে ওই ট্রাকচালক ও তার সহযোগিকে হত্যা করে বনের ভিতর মৃতদেহ রেখে দিত। ট্রাক চালিয়ে নিয়ে চলে যেতো প্রত্যান্ত এলাকায়। সেখানে যেয়ে সহযোগিদের সহায়তায় বিক্রি করে দিতো ট্রাক, তাতে থাকা পণ্যসামগ্রী।
আদেশ খামারকে আটকের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ, তার প্রতিবেশীরা তাকে একজন শান্ত, ভদ্র মানুষ বলে জানতেন। এক প্রতিবেশী বলেছেন, তার হাতে এত রক্তের দাগ একথা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই।