বাংলারজমিন
তালাক দেয়ায় স্ত্রীকে অপহরণ আহত ৫
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
লাকসামে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেয়ার ১ মাসের মধ্যে সন্ত্রাসী দিয়ে স্ত্রীকে অপহরণ করিয়েছে স্বামী। স্ত্রীর চিৎকারে এগিয়ে এলে তার মা, বড় বোন, ছোট ভাই ও চাচাতো ভাইসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার রাত ১২টায় লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, লাকসাম গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া হাজিপাড়া গ্রামের মীর হোসেনের কন্যা পিংকি (২৪) বিগত ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির রাগদিয়া গ্রামের আলমগীরের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পিংকি তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে দেখতে পায় তার স্বামী পূর্বেই একটি বিয়ে করেছে। ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে হাওলাত দেয়। এর কিছুদিন যেতে না যেতে আরো ১ লাখ টাকা তার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না দেয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পিংকি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। ইতিমধ্যে তার ২টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রথমটির বয়স ২ বছর ও দ্বিতীয়টির বয়স দেড় মাস। পিংকি তার বাবার বাড়িতে চলে আসার পর তার ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের কোনো খোঁজখবর নিত না স্বামী। গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখে পিংকি তার স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের কাগজপত্র রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীর শনিবার রাত ১২টায় ২ সন্ত্রাসী, তার বোন ও মাকে নিয়ে পিংকিদের বাড়িতে আসে। ঘরের দরজা ভেঙে পিংকির চুলের মুঠি ধরে কালো একটি হাইয়েস মাইক্রোতে উঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় পিংকি চিৎকার করলে তার মা বকুল বেগম (৬৫), চাচাত বোন সেতারা বেগম (৩৫), ছোট ভাই মাইনউদ্দিন (১৮) ও চাচাত ভাই সাহাবউদ্দিন (২৬) তাকে উদ্ধার করতে গেলে আলমগীরসহ সন্ত্রাসীরা বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পিংকিকে মাইক্রোতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে লাকসাম থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, লাকসাম গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া হাজিপাড়া গ্রামের মীর হোসেনের কন্যা পিংকি (২৪) বিগত ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির রাগদিয়া গ্রামের আলমগীরের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পিংকি তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে দেখতে পায় তার স্বামী পূর্বেই একটি বিয়ে করেছে। ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে হাওলাত দেয়। এর কিছুদিন যেতে না যেতে আরো ১ লাখ টাকা তার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। টাকা না দেয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পিংকি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। ইতিমধ্যে তার ২টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রথমটির বয়স ২ বছর ও দ্বিতীয়টির বয়স দেড় মাস। পিংকি তার বাবার বাড়িতে চলে আসার পর তার ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের কোনো খোঁজখবর নিত না স্বামী। গত আগস্ট মাসের ৫ তারিখে পিংকি তার স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের কাগজপত্র রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীর শনিবার রাত ১২টায় ২ সন্ত্রাসী, তার বোন ও মাকে নিয়ে পিংকিদের বাড়িতে আসে। ঘরের দরজা ভেঙে পিংকির চুলের মুঠি ধরে কালো একটি হাইয়েস মাইক্রোতে উঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় পিংকি চিৎকার করলে তার মা বকুল বেগম (৬৫), চাচাত বোন সেতারা বেগম (৩৫), ছোট ভাই মাইনউদ্দিন (১৮) ও চাচাত ভাই সাহাবউদ্দিন (২৬) তাকে উদ্ধার করতে গেলে আলমগীরসহ সন্ত্রাসীরা বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পিংকিকে মাইক্রোতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে লাকসাম থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে।