ফেসবুক ডায়েরি
ক্রনি ক্যাপিটালিজম
অধ্যাপক ফাহমিদুল হক
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
শ্রমজীবী নাগরিকের শ্রমে এবং অশ্রমজীবী মধ্যবিত্তের করের টাকায় যে জাতীয় উদ্বৃত্ত, তা থেকে সব নাগরিকের সরকারি সেবা হিসেবে যে রিটার্ন পাবার কথা, তা আমরা সুনাগরিকরা সামান্যই পাই। কিন্তু অল্প কয়েকজনের প্রচুর ভাগের ব্যবস্থা আছে ওই উদ্বৃত্তে। অল্প কয়েকজন এই ভাগ বসাচ্ছে অবৈধ পন্থায়, রাজনৈতিক/সরকারি নীতির সুযোগ নিয়ে। অথচ আমরা বোকা বোকা সাধারণ নাগরিক পরিসংখ্যান দেখে ভড়কে গিয়ে ভাবি, খুব উন্নয়ন হচ্ছে তো! এরচেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন সুবিধা আমরা ‘সবাই’ পেতে পারতাম, যদি অল্প কয়েকজন ‘আল্ট্রা রিচ’ সব লুটপাট করে নিয়ে না যেত।
অল্প কয়েকজনের জন্য এই দারুণ ব্যবস্থার এক উদাহরণ: হাজার কোটি টাকা লোন নাও, দেশের মাটিতে কিছুমিছু কর, বাকিটা সুইস ব্যাংকে পাচার কর, লোন শোধ করার কথা ভেবো না। আর লোন পেতে সমস্যা হলে নিজেই ব্যাংক খোল, ডিরেক্টর হিসেবে বন্ধুদের লোন দাও, শর্ত হিসেবে কমিশন নাও সেই কমিশনের টাকা দেশ-বিদেশে ভোগ কর, বাকিটা সুইস ব্যাংকে পাচার কর। লোন পরিশোধ যে করতে হবে না, সেই আলাপ তোলারই দরকার নাই।
অল্প কয়েকজনের জন্য এই দারুণ ব্যবস্থার এক উদাহরণ: হাজার কোটি টাকা লোন নাও, দেশের মাটিতে কিছুমিছু কর, বাকিটা সুইস ব্যাংকে পাচার কর, লোন শোধ করার কথা ভেবো না। আর লোন পেতে সমস্যা হলে নিজেই ব্যাংক খোল, ডিরেক্টর হিসেবে বন্ধুদের লোন দাও, শর্ত হিসেবে কমিশন নাও সেই কমিশনের টাকা দেশ-বিদেশে ভোগ কর, বাকিটা সুইস ব্যাংকে পাচার কর। লোন পরিশোধ যে করতে হবে না, সেই আলাপ তোলারই দরকার নাই।