বাংলারজমিন
ঘাতক বাসচালকের স্বীকারোক্তি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
‘আমার মনে হয় আমি অপরাধ করি নাই’ কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে শিশু আকিফা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাতক বাসচালক খোকন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর প্রেস ব্রিফিং এ এই দাবি করেন। বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে ফরিদপুর সদর থানার বঙ্গেশ্বরী এলাকা থেকে র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার একটি টিম মহিত মিয়া ওরফে খোকনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার অ্যাডিশনাল এসপি মুহাইমেনুল রশিদ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৮শে আগস্ট দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মোড়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে রিনা খাতুন তার কন্যাশিশু আকিফাকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখনই ফয়সাল গঞ্জেরাজ পরিবহন নামের একটি বাস কোনো প্রকার হরন বা কোনো সতর্ক বার্তা না দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে এবং রিনা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে আকিফা পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা আহত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকিফার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আকিফা ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আকিফা ৩০শে আগষ্ট ভোর ৫টার দিকে মারা যায়। ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বাস চালক মো. মহিদ মিয়া@খোকন (৩৫), তার সহকারী মো. ইউনুস মাস্টার এবং বাসের মালিক মো. জয়নাল মিয়াকে আসামি করে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪১, তারিখ-৩০/০৮/২০১৮খ্রিঃ, ধারা-২৭৯/৩৮৮/৩৪৪-খ পেনাল কোড। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ফরিদপুর থেকে বাস মালিক জয়নাল আবেদিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিনকে আদালতে হাজির করে। একই সময়ে বাসের চালক মো. মহিদ মিয়া@ খোকন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে। পরে আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলায় পেনাল কোড ৩০২ ধারা সংযুক্তির আবেদন করেন এবং আসামিদ্বয়ের জামিন বাতিল চেয়ে এবং আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পেনাল কোড ৩০২ ধারা সংযুক্ত করার আদেশ দেন এবং আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদ্বয়ের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই নৃশংস হত্যাকা- এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
ঘটনার পর হতেই র্যাব উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২/০৯/২০১৮ তারিখ রাত আনুমানিক ১১.১৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহার নামীয় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিরা ফরিদপুর জেলার সদর থানাধীন বঙ্গেশ^রদী এলাকায় অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে বাসযোগে ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সংবাদ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই র্যাব-১২, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ওই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. মহিদ মিয়া @ খোকন (৩৫), পিতা মো. দেলোয়ার হোসেন, সাং-ইউসুফপুর, থানা কোতোয়ালি, জেলা-ফরিদপুরকে গ্রেপ্তার করে। সে ওই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি।
ঘটনার পর হতেই র্যাব উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২/০৯/২০১৮ তারিখ রাত আনুমানিক ১১.১৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহার নামীয় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিরা ফরিদপুর জেলার সদর থানাধীন বঙ্গেশ^রদী এলাকায় অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে বাসযোগে ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সংবাদ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই র্যাব-১২, কুষ্টিয়া কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ওই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. মহিদ মিয়া @ খোকন (৩৫), পিতা মো. দেলোয়ার হোসেন, সাং-ইউসুফপুর, থানা কোতোয়ালি, জেলা-ফরিদপুরকে গ্রেপ্তার করে। সে ওই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি।