বাংলারজমিন
গফরগাঁওয়ে পিটিয়ে স্কুলছাত্র হত্যা
গ্রেপ্তার হয়নি আসামি
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
গফরগাঁওয়ের আলোচিত রিয়াদ (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে, নির্মম ও পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মূল আসামি রাশিদ, আব্দুল আহাদ, আশরাফুল, কামরুল, মীর রাসেল, মীর মনির এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ঘটনার দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও এজাহারভুক্ত একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। থানা পিুলিশ, মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০শে আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উথুরী-ছিপান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও উথুরী গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাইদুর রহমান শাহীনের ছেলে রিয়াদকে উথুরী-ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুলের ‘দোকানের তালা খোলার চেষ্টার অপরাধে’ বাজারের একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে, দুই/আড়াই ঘণ্টা ধরে নির্মম ও পৈশাচিকভাবে নির্যাতন হত্যা করে একদল পাষণ্ড। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহত রিয়াদের ফুফা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদকে (৫৫) কে প্রধান আসামি ও উথুরী-ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারের ব্যবসায়ী সাঈদ (৩৭), সিরাজ (৫৫), আ. আহাদ (৩৮),আশরাফুল (৩৫) ও উপজেলা তৃণমূল দলের সাবেক আহ্বায়ক মীর রাসেল (৩৫) এবং মীর মনির (৩৪), কামরুল (৪৬), সোহেল (২৩)সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আরো ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে ঘটনাটি সারা দেশে আলোচিত হয়। রিয়াদ হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। কিন্তু ঘটনার দু’সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার স্বরূপ উন্মোচিত হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। রিয়াদের কলেজ পড়ুয়া বোন নীলফুল নাহার শান্তা বলেন, আমার শিশু ভাইটিকে এত নির্যাতন করে, নির্মমভাবে যারা মেরে ফেলল। আমি তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার চাই। গফরগাঁও থানার ওসি আবদুল আহাদ খান এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।