বাংলারজমিন
নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা যুবতী আটক
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে দুই রোহিঙ্গা যুবতী আটক হয়েছে। তারা হলো- নূর কায়েস (২২) ও রাশিদা (২০)। এর মধ্যে নূর কায়েস কক্সবাজারের উখিয়া থানার বাগবুনিয়া ক্যাম্পের এ-১ কেন্দ্রের আমির হামজার মেয়ে এবং রাশিদা একই জেলা ও থানার বালুখালি ক্যাম্পের আই-২০ কেন্দ্রের আবুল কালামের মেয়ে। মিয়ানমারে নূর কায়েসের বাড়ি মংরুর আইক্ক্যাপের কুয়ান্সি ব্যাংক এলাকায় এবং রাশিদার বাড়ি মংরুর হাজ্জারুতে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসের এক দালাল আনোয়ারের (২৫) মাধ্যমে রোহিঙ্গা যুবতী নূর কায়েস ও রাশিদা দুপুরের পর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যায় পাসপোর্ট করার জন্য। কিন্তু কথাবার্তার একপর্যায়ে তারা ধরা পড়ে যায়।
নূর কায়েস ও রাশিদা সাংবাদিকদের জানায়, গত এক মাসে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে ১ লাখ টাকা করে দুইজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। গত ৪ দিন আগে ক্যাম্প থেকে তাদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নিয়ে এসে ইকবাল তার বাড়িতে রাখে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আনোয়ার নামে এক লোকের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য তাদের পাসপোর্ট অফিসে পাঠায়। একপর্যায়ে রাশিদার কথা শুনে সন্দেহ করে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন। এ নিয়ে কিছু লোক (হয়তো পাসপোর্ট অফিসের দালাল) তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়ে বলে বল তোরা রোহিঙ্গা না এখানেই থাকস। এ কথা বলে আরো মারধর করে। রাশিদা ও নূর কায়েস শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখায় সাংবাদিকদের।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, মেয়ে দুটি দুপুরের পর পাসপোর্ট করতে আসে। এ সময় রাশিদার কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়। তাদের মারধর করা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, পাসপোর্ট অফিসের লোকজন রোহিঙ্গা দুই যুবতীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
জানা যায়, পাসপোর্ট অফিসের এক দালাল আনোয়ারের (২৫) মাধ্যমে রোহিঙ্গা যুবতী নূর কায়েস ও রাশিদা দুপুরের পর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যায় পাসপোর্ট করার জন্য। কিন্তু কথাবার্তার একপর্যায়ে তারা ধরা পড়ে যায়।
নূর কায়েস ও রাশিদা সাংবাদিকদের জানায়, গত এক মাসে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে ১ লাখ টাকা করে দুইজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। গত ৪ দিন আগে ক্যাম্প থেকে তাদের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে নিয়ে এসে ইকবাল তার বাড়িতে রাখে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আনোয়ার নামে এক লোকের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য তাদের পাসপোর্ট অফিসে পাঠায়। একপর্যায়ে রাশিদার কথা শুনে সন্দেহ করে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন। এ নিয়ে কিছু লোক (হয়তো পাসপোর্ট অফিসের দালাল) তাদের চড়-থাপ্পড় দিয়ে বলে বল তোরা রোহিঙ্গা না এখানেই থাকস। এ কথা বলে আরো মারধর করে। রাশিদা ও নূর কায়েস শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখায় সাংবাদিকদের।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, মেয়ে দুটি দুপুরের পর পাসপোর্ট করতে আসে। এ সময় রাশিদার কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়। তাদের মারধর করা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের জানান, পাসপোর্ট অফিসের লোকজন রোহিঙ্গা দুই যুবতীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।