রকমারি

পড়তে যাবে মেয়ে, চায় ১৩ জন ব্যক্তিগত কর্মী

অনলাইন ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

কয়েক মাস আগেই বেরিয়েছিল বিজ্ঞাপনটা ‘মালিককে ঘুম থেকে তোলার জন্য কর্মী চাই’!
কিন্তু কার জন্য এমন বিজ্ঞাপন, সেই প্রশ্নেই সরগরম ছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। তবে উত্তরটা মিলেছে সম্প্রতিই। জানা গিয়েছে, এক ভারতীয় কোটিপতির কিশোরী-কন্যা সবে ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার যাতে কোনও রকম অসুবিধা না-হয়, তার জন্যই এত আয়োজন!

স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ় বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেছে ওই মেয়েটি। তার মধ্যেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে সে। জুটে গিয়েছে ‘সব চেয়ে অভিজাত’-এর তকমাও। এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিখ্যাত প্রাক্তনী ছিলেন ডিউক ও ডাচেস অব কেমব্রিজ উইলিয়াম ও কেট। কিন্তু সেই সময় উইলিয়ামও আর পাঁচ জন পড়–য়ার মতো খুব সাধারণ ভাবেই থাকতেন। তাই ভারতীয় কোটিপতি-কন্যার জন্য এমন আয়োজনে হতভম্ব অনেকেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী বরাবরই বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার  জন্য কি সে সব ছাড়তে হবে তাকে? এটা তো আর কয়েক মাসের ব্যাপার নয়! পুরো চার বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটাতে হবে। কিন্তু এত দিন থাকতে গেলে সহপাঠীদের সঙ্গে তো ঘর শেয়ার করতে হবে! এমনকি নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে!

মেয়ের এহেন অসুবিধায় এগিয়ে আসে পরিবারই। বাড়ির আদরের মেয়ের যাতে কষ্ট না-হয়, তার জন্যই বিলাস-ব্যসনের এলাহি আয়োজন। প্রথমেই সেন্ট অ্যান্ড্রুজ়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি বিশাল বাড়ি কিনে ফেলেছে পরিবারটি। মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে মেয়েকে সঙ্গ দেবেন তার বাবা-মা-ভাই।

কিন্তু মেয়ের কাজ কে করবে? তার জন্যই তো নিয়োগ করা হয়েছে ১৩ জন কর্মীকে। আর এই কর্মী নিয়োগ করার জন্যই যোগাযোগ করা হয়েছিল এক অভিজাত নিয়োগকারী সংস্থা ‘সিলভার সোয়ান’-এর সঙ্গে। তারা একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, ‘‘শহরতলিতে ঘরের কাজের জন্য ১৩ জন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী চাই। মাইনে— বছরে ৩০ হাজার পাউন্ড।’’

এখানেই শেষ নয়, বিজ্ঞাপনে এ-ও বলা ছিল যে, ঘরের কাজের মহিলাকর্মীকে কর্মশক্তিতে ভরপুর, উচ্ছল হতে হবে। ওই মহিলাকর্মীর কাজ হল— রুটিন অনুযায়ী অন্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, ওয়ারড্রোব গ্রুমিং ও মেয়েটির ব্যক্তিগত শপিংয়ে সাহায্য করা। শুধু তা-ই নয়, মেয়েটির ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে যেতে দেরি না-হয়ে যায়, সেই কারণে মেয়েটিকে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়াটাও মহিলাকর্মীর কাজের মধ্যে পড়বে।

আর খাওয়া-দাওয়া? সে বিষয়েও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শেফ খুঁজেছে পরিবারটি। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ওই ছাত্রীর জন্য রান্না করতে যাঁরা ইন্টারভিউ দেবেন, তাঁদের ভারতীয় খানা বানানো জানতে হবে। বিশেষ করে, দক্ষিণ ভারতীয় খানা। এ ছাড়াও, চাইনিজ় ও ইটালীয় খাবারদাবার বানানোয়ও দক্ষ হতে হবে শেফকে। এ ছাড়া, সাহায্যকারী কর্মীদের দলে থাকছেন এক জন মালি, এক জন গাড়ির চালক ও এক বাটলার।

কে সেই কোটিপতি কন্যা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও। কারণ কোনও সংবাদমাধ্যমেই এখনও মেয়েটি বা তার কোটিপতি বাবার নাম প্রকাশিত হয়নি। তবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম মজা করেই পাঠকদেরই প্রশ্ন করছে, ‘কে ওই ছাত্রী? আপনারাই অনুমান করে দপ্তরে ই-মেল করুন।’’        

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status