রকমারি
গ্যাংস্টার থেকে নুডুলস বিক্রেতা
অনলাইন ডেস্ক
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
এক সময়কার কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছিলেন তিনি। আর এখন দিন কাটে গরিব মানুষজনের মাঝে নুডুলস বিলিয়ে। ঘটনাটি তাইওয়ানের নিউ তাইপেই শহরের ইয়েন ওয়েই-শানের। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই একটি দলের সঙ্গে ঝামেলার জেরে হাতাহাতি হলে সেখানেই মৃত্যু হয় একজনের। আর সেই খুনের দায়েই তোকে সাড়ে চার বছর কারাবন্দি থাকতে হয়। তবে জেল থেকে বের হবার পর থেকেই পুরোদস্তুর অপরাধ জগতেরই লোক বনে যান। গড়ে তোলেন নিজের বাহিনী। দীর্ঘ দিন ধরে নিজের বাহিনী নিয়ে কাজ করায় টার্গেট হয়ে পড়েন পুলিশের। আট বছর আগে পুলিশের কাছে ধরা পড়লে আদালত তাকে এটাই ‘শেষ সুযোগ’ বলে ক্ষমা করে দেন।
আর তার পরেই যেন মিরাকল ঘটে যায়। অপরাধহীন জীবনের স্বাধীনতার স্বাদ পেতে থাকেন ইয়েন। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘ওই সুযোগটাই যেন আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছিল। তখন থেকেই আমার পরিবার আর স্বাধীনতাকে আগলে আগলে রাখি আমি।’
নিউ তাইপেই শহরেই একটি নুডলসের দোকান চালাতেন ইয়েনের মা। নুডলস ছাড়াও সেই স্টলে পর্ক, চিংড়ি, বাঁধাকপি মেলে। আর এসব কিছুই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা ন্যায্য মূল্যে। কিন্তু যাঁদের সামর্থ্য তাদের জন্য নিয়মটা পালটে যায়। তাদের জন্য বিনামূল্যেই এই সব খাবারের বন্দোবস্ত করে থাকেন ইয়েন এবং তাঁর মা। ইয়েন জানান, ‘‘মাসে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ বাউল নুডলস ফ্রিতেই গরিব মানুষজনকে দেওয়া হয়। চার বছর আগে মার সঙ্গে এই কাজে হাত দিয়েছিলেন ইয়েন। আর আজ পর্যন্ত প্রায় ৪০,০০০ বাউল নুডলস বিনামূল্যেই মানুষকে বিলিয়েছি। মূলত বৃদ্ধ মানুষজন আর বেকার যুবকেরাই বিনামূল্যে খাবারের জন্য আবেদন করে থাকেন।’
তবে শুধুমাত্র নুডলসের দোকানেই দিন কাটে না সাবেক এই গ্যাংস্টারের। জেলে গিয়ে বন্দীদের সঙ্গে রীতিমতো গল্পে মজে যান। পরিবারের সঙ্গেও সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলা ৬২ বছরের এক প্রাক্তন গ্যাংস্টার, ইয়েনের দোকানের প্রতিদিনের খরিদ্দার। ইয়েন বলেন, ‘আমি অনেক গ্যাংস্টারকেই দেখেছি, নিজের জীবনটা এই ভাবে শেষ করে ফেলতে। মাঝেমধ্যে আমারও ভেবে কষ্ট হয় যে, আমিও জীবনের কতটা সময় এই সব করেই নষ্ট করেছি।’
তিনি আরও জানান, অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন সময়ে মনে হতো আমি যেন একটা দড়ির উপর দিয়ে হাঁটাচলা করছি। কারণ, যে কোনও মুহূর্তেই আমার জন্য একজন শত্রু অপেক্ষা করে রয়েছেন। আর এখন এমন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, যাঁরা আমাকে দেখে সত্যিই খুব খুশিবোধ করে।
আর তার পরেই যেন মিরাকল ঘটে যায়। অপরাধহীন জীবনের স্বাধীনতার স্বাদ পেতে থাকেন ইয়েন। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘ওই সুযোগটাই যেন আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছিল। তখন থেকেই আমার পরিবার আর স্বাধীনতাকে আগলে আগলে রাখি আমি।’
নিউ তাইপেই শহরেই একটি নুডলসের দোকান চালাতেন ইয়েনের মা। নুডলস ছাড়াও সেই স্টলে পর্ক, চিংড়ি, বাঁধাকপি মেলে। আর এসব কিছুই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা ন্যায্য মূল্যে। কিন্তু যাঁদের সামর্থ্য তাদের জন্য নিয়মটা পালটে যায়। তাদের জন্য বিনামূল্যেই এই সব খাবারের বন্দোবস্ত করে থাকেন ইয়েন এবং তাঁর মা। ইয়েন জানান, ‘‘মাসে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ বাউল নুডলস ফ্রিতেই গরিব মানুষজনকে দেওয়া হয়। চার বছর আগে মার সঙ্গে এই কাজে হাত দিয়েছিলেন ইয়েন। আর আজ পর্যন্ত প্রায় ৪০,০০০ বাউল নুডলস বিনামূল্যেই মানুষকে বিলিয়েছি। মূলত বৃদ্ধ মানুষজন আর বেকার যুবকেরাই বিনামূল্যে খাবারের জন্য আবেদন করে থাকেন।’
তবে শুধুমাত্র নুডলসের দোকানেই দিন কাটে না সাবেক এই গ্যাংস্টারের। জেলে গিয়ে বন্দীদের সঙ্গে রীতিমতো গল্পে মজে যান। পরিবারের সঙ্গেও সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলা ৬২ বছরের এক প্রাক্তন গ্যাংস্টার, ইয়েনের দোকানের প্রতিদিনের খরিদ্দার। ইয়েন বলেন, ‘আমি অনেক গ্যাংস্টারকেই দেখেছি, নিজের জীবনটা এই ভাবে শেষ করে ফেলতে। মাঝেমধ্যে আমারও ভেবে কষ্ট হয় যে, আমিও জীবনের কতটা সময় এই সব করেই নষ্ট করেছি।’
তিনি আরও জানান, অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন সময়ে মনে হতো আমি যেন একটা দড়ির উপর দিয়ে হাঁটাচলা করছি। কারণ, যে কোনও মুহূর্তেই আমার জন্য একজন শত্রু অপেক্ষা করে রয়েছেন। আর এখন এমন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, যাঁরা আমাকে দেখে সত্যিই খুব খুশিবোধ করে।