খেলা

বকেয়ার দাবিতে বিসিবিতে ক্রিকেটাররা

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ: পারিশ্রমিক নিয়ে ‘নয়-ছয়’

স্পোর্টস রিপোর্টার

২০ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আসর শেষ হয়েছে প্রায় ৪ মাস আগে। লীগ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ক্রিকেটারদের সব পাওনা পরিশোধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিয়ম মানেনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব। লীগ শেষ হলেও ক্রিকেটাররা এখনো পাওনা পারিশ্রমিকের জন্য ঘুরছেন। শেষ পর্যন্ত গতকাল তারা দ্বারস্থ হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ক্লাবের পক্ষ থেকে আশ্বাস ছিল রমজানের ঈদের আগেই বকেয়া পাওনা বুঝে পাবেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, অলক কাপালিরা। তবে এখন দুয়ারে কোরবানির ঈদ। কিন্তু এখনও পারিশ্রমিকের শেষ কিস্তির টাকা হাতে পাননি ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্রিকেটাররা। তাতেই বিসিবি কার্যালয়ে এসে প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানান ক্লাবটির ভুক্তভোগী ক্রিকেটাররা। তা শুনে অবশ্য বিসিবির প্রধান নির্বাহী আশ্বাস দিয়েছেন আগামী মাসের মধ্যেই বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে দেয়ার। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ব্রাদার্সের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হয়ে আসা অলক কাপালি। দলের অধিনায়ক চান স্থায়ী সমাধান। তিনি বলেন, ‘একই আশ্বাস দিয়েছিল ক্লাব, এই ঈদের আগে দেবে। কোরবানির ঈদের আগে শেষ সময়ের কর্মদিবস এখন। টাকা পরিশোধ নিয়ে কোনো খবর নেই। সিইও আশ্বাস দিয়েছেন সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। একটা জিনিস খুব খারাপ লাগে, প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতিতে খেলছি টাকার নিশ্চয়তা পাওয়ার জন্যই। কিন্তু তা হচ্ছে না।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের দলবদল এবারও হয়েছে ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে টাকা কম হলেও সঠিকভাবে পারিশ্রমিক দেয়ার নিয়ম রয়েছে। যেমন খেলা শুরুর আগে ৫০ শতাংশ, শুরুর পর আরো ২৫ শতাংশ এবং শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশ পাওনা পরিশোধের কথা রয়েছে। অলক বলেন, ‘তিন মাস ধরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পাওনা আদায়ের। ক্রিকেটারদের সবাই তো ঢাকায় থাকে না, অনেকে ঈদ করতে বাড়ি চলে গেছে। সবাইকে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। বিসিবি চিন্তা করলে ভালো। সবার জীবন ও জীবিকা চলে প্রিমিয়ার লীগের টাকা দিয়ে। আর হয়ও মাত্র দুইটা লীগ, একটি এনসিএল ও বিসিএল। তার উপর বিসিএলে খেলার সুযোগ সবাই পায় না। বিসিবির কাছে একটা অনুরোধ থাকবে, প্লেয়ার্স বাই চয়েজ যাতে না করা হয়; চুক্তিতে খেললে কিন্তু সমস্যা হয় না। চুক্তিতে খেলতে পারলে টাকাও আমরা বেশি পাই।’
পাওনা নিয়ে একই সমস্যায় পড়েছিলেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ক্রিকেটাররাও। পাওনার দাবিতে গত মে’তে বিসিবির দ্বারস্থ হয়েছিলেন দলটিতে খেলা মুক্তার আলী, তাসামুল হক, নাবিল সামাদ, জসিমউদ্দিনরা। তাই ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই চান না ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতির দলবদল। অন্যদিকে লীগে ব্যয় কমাতে কয়েকটি ক্লাব চায় এই পদ্ধতি। তারা ক্রিকেটারদের পাওনা নিয়েও করে নয়-ছয়। এই বিষয়ে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেন, ‘ক্রিকেটারদের পেমেন্ট নিয়ে প্রফেশনাল কাঠামো থাকা উচিত। কাপালি, জুনায়েদের মতো টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের যখন মিডিয়ার সামনে এসে পেমেন্ট নিয়ে কথা বলতে হয়, তখন তা আমাদের সবার জন্যই কষ্টকর। কোয়াবের জন্য বিব্রতকর।’
প্লেয়ার বাই চয়েজ নিয়ে ঢাকা মহানগর ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম) সদস্য সচিব আলী হোসেন বলেন, ‘এটা তো ক্লাবের সর্বসম্মতিক্রমে করা হয়। ক্লাবের সীমাবদ্ধতাও দেখতে হয়। গত ঈদের আগেই ব্রাদার্সের পাওনা পরিশোধ করার কথা। আমাদের তারা এমন কথাই দিয়েছিল। ক্লাবটির দায়িত্বে থাকা আমিন খানও কথা দিয়েছিলেন। কেন তারা করেনি সেটি আমি দেখবো। যদি একেবারেই না দেয় বিসিবি এটা সুরাহা করবে। পরে বোর্ড এ ব্যাপারে নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’ এ ব্যাপারে ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমিন খানকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status