অনলাইন
আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে সরকার পতন আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ৭:৪১ পূর্বাহ্ন
সরকার গুজবের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের আটক করে যৌক্তিক আন্দোলন বন্ধের অপচেষ্টা করছে। একদিকে তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ন্যায্য ও যৌক্তিক বলছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আটক করে রিমান্ডে দিচ্ছে। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের মুক্তি না দিলে সকল শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে সরকার পতন আন্দোলন করতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন যুক্ত হয়ে প্রতিবাদ সভায় তারা এমন দাবি জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, সরকার একদিকে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে বাহবা দিয়ে, আবার গুজবের নামে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের গুন্ডা বাহিনী, হেলমেটধারী আর পুলিশ বাহিনী রাবার বুলেট ছুড়ে মারছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক তৈরিতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় নামে। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে নিরাপদ সড়ক তৈরি করা সম্ভব। আইন-শৃঙ্খলা মেনে বৈধ চালক দিয়ে এই সীমিত রাস্তায়ও সুষ্ঠুভাবে যান চলাচল সম্ভব তা তারা দেখিয়ে দিয়েছে। অথচ শিশুদের উপর হেলমেট বাহিনী হামলা চালিয়ে এ আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা চালায়। তার প্রতিবাদে সরকারি-বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামলে তাদের আটক করে পুলিশ রিমান্ডে নিচ্ছে। গুজব ছড়ানের নামে আলোকচিত্র শহীদুল আলমসহ অনেক শিক্ষার্থীদের পুলিশ আটক অব্যাহত রয়েছে।
সকল আটক শিক্ষার্থী ও শহীদুল আলমকে মুক্তি দাবি জানিয়ে সাকী বলেন, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে কেউ বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে ধাকতে পারেনি। এই ফ্যাসিবাদী সরকারও তা পারবে না। দ্রুত সকলকে মুক্তি দিয়ে আপনাদের পাপ কমিয়ে নেন। গুজব ও বিএনপি-জামাত নামে আটক বন্ধ করুন। পাশাপাশি ৫৭ বাতিল করে এ ধারার সকল মামলা প্রত্যাহার করুন। নতুবা সাধারণ জনগণ চুপ থাকবে না। তারা রাস্তায় মেনে সরকারের সৈ¦রাচারী আচারণের প্রতিবাদ করতে বাধ্য হবেন।
সমাবেশে ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়কে নৈরাজ্য ও জুলুম বন্ধে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পচাগলা সংস্কার কাজ শুরু করলেও বর্তমান সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের আটক করে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তা মেনে নিব না। ঈদের আগে আটককৃত সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। নতুবা ঈদের পর সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। তারা বলেন, সাধারণ জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। নানা অজুহাতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে অন্যায়ের প্রতিবাদ বন্ধ রাখা যাবে না। যার প্রমাণ স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা দিয়েছে। সরকারের উচিৎ সেখান থেকে শিক্ষা নেয়া। যদি এতেও তাদের শিক্ষা না হয়, তবে সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীরা একযোগে রাস্তায় নেমে সরকার পতন করার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুশীয়ারী দিয়েছেন।
বিকাল থেকে নানা শ্লোগান লেখা ফেস্টুন, প্লাকার্ড হাতে নিয়ে আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাসে এসে সমাবেত হয় ছাত্রদের কয়েকটি সংগঠন। তাদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, সিপিপি, বাসদ মার্কবাদী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনসহ কয়েকটি দল যুক্ত হয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী-রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিক্ষোভ ও জনসভায় অংশগ্রহন করেন। দুই ঘন্টা ধরে তারা আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যহত রাখেন। পরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে তারা স্থান ত্যাগ করেন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন যুক্ত হয়ে প্রতিবাদ সভায় তারা এমন দাবি জানান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, সরকার একদিকে শিশু-কিশোরদের আন্দোলনকে বাহবা দিয়ে, আবার গুজবের নামে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের গুন্ডা বাহিনী, হেলমেটধারী আর পুলিশ বাহিনী রাবার বুলেট ছুড়ে মারছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক তৈরিতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় নামে। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে নিরাপদ সড়ক তৈরি করা সম্ভব। আইন-শৃঙ্খলা মেনে বৈধ চালক দিয়ে এই সীমিত রাস্তায়ও সুষ্ঠুভাবে যান চলাচল সম্ভব তা তারা দেখিয়ে দিয়েছে। অথচ শিশুদের উপর হেলমেট বাহিনী হামলা চালিয়ে এ আন্দোলন বন্ধের চেষ্টা চালায়। তার প্রতিবাদে সরকারি-বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামলে তাদের আটক করে পুলিশ রিমান্ডে নিচ্ছে। গুজব ছড়ানের নামে আলোকচিত্র শহীদুল আলমসহ অনেক শিক্ষার্থীদের পুলিশ আটক অব্যাহত রয়েছে।
সকল আটক শিক্ষার্থী ও শহীদুল আলমকে মুক্তি দাবি জানিয়ে সাকী বলেন, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে কেউ বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে ধাকতে পারেনি। এই ফ্যাসিবাদী সরকারও তা পারবে না। দ্রুত সকলকে মুক্তি দিয়ে আপনাদের পাপ কমিয়ে নেন। গুজব ও বিএনপি-জামাত নামে আটক বন্ধ করুন। পাশাপাশি ৫৭ বাতিল করে এ ধারার সকল মামলা প্রত্যাহার করুন। নতুবা সাধারণ জনগণ চুপ থাকবে না। তারা রাস্তায় মেনে সরকারের সৈ¦রাচারী আচারণের প্রতিবাদ করতে বাধ্য হবেন।
সমাবেশে ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়কে নৈরাজ্য ও জুলুম বন্ধে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে পচাগলা সংস্কার কাজ শুরু করলেও বর্তমান সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের আটক করে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তা মেনে নিব না। ঈদের আগে আটককৃত সকল শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। নতুবা ঈদের পর সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। তারা বলেন, সাধারণ জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। নানা অজুহাতে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে অন্যায়ের প্রতিবাদ বন্ধ রাখা যাবে না। যার প্রমাণ স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা দিয়েছে। সরকারের উচিৎ সেখান থেকে শিক্ষা নেয়া। যদি এতেও তাদের শিক্ষা না হয়, তবে সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীরা একযোগে রাস্তায় নেমে সরকার পতন করার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুশীয়ারী দিয়েছেন।
বিকাল থেকে নানা শ্লোগান লেখা ফেস্টুন, প্লাকার্ড হাতে নিয়ে আলাদাভাবে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাসে এসে সমাবেত হয় ছাত্রদের কয়েকটি সংগঠন। তাদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, সিপিপি, বাসদ মার্কবাদী, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনসহ কয়েকটি দল যুক্ত হয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী-রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিক্ষোভ ও জনসভায় অংশগ্রহন করেন। দুই ঘন্টা ধরে তারা আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যহত রাখেন। পরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে তারা স্থান ত্যাগ করেন।