রকমারি
করমর্দন না করায় সুইস নাগরিকত্ব পেলেন না মুসলিম দম্পত্তি
অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ২:০৪ পূর্বাহ্ন
সুইজারল্যান্ডের লজানে শহর কর্তৃপক্ষ এক মুসলিম দম্পত্তির নাগরিকত্বের আবেদন বাতিল করেছে, কারণ তারা বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে করমর্দন করতে রাজি হননি। শহরের মেয়র গ্রেগরি জুনোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বরাতে জানান, লিঙ্গ সমতার প্রতি শ্রদ্ধার অভাব থাকার কারণে ওই দম্পত্তির আবেদন অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান।
মেয়র জুনোদ বলেন, কয়েক মাস আগে ওই দম্পত্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য ছিল তারা নাগরিকত্ব প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছেন কিনা তা যাচাই করা। কিন্তু শুক্রবার প্রকাশ করা এক সিদ্ধান্তে জানা যায়, ওই দম্পত্তি সমাজে পর্যাপ্ত মাত্রায় একীভূত হতে পারেননি। মেয়র ওই দম্পত্তির জাতীয়তা বা বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘তারা বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে করমর্দন করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপরীত লিঙ্গের প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে তারা বেশ অনিচ্ছুক বলে মনে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম মনে করেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিবিশেষ ব্যতিত বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে কোনো ধরণের শারীরিক সংস্পর্শে আসা নিষিদ্ধ। মেয়র বলেন, দেশের আইনে ধর্ম ও ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে ধর্মীয় চর্চা আইনের আওতাধীন নয়।
শহরের ভাইস মেয়র পিয়েরে আন্তোয়েন হিল্ডব্রান্ড ছিলেন তিন সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিশনের সদস্য যারা ওই দম্পত্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তিনি বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। তার ভাষ্য, ‘সংবিধান এবং নারী-পুরুষের সমতার স্থান গোঁড়ামির উর্ধ্বে।’
খবরে বলা হয়, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে ৩০ দিন সময় আছে ওই দম্পত্তির।
তবে করমর্দন নিয়ে সুইজারল্যান্ডে আলোচনা তৈরি হওয়ার এটিই একমাত্র ঘটনা নয়। ২০১৬ সালে, দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ে দুই সিরিয়ান ভাইকে ভর্তি হতে দেয়া হয়, যারা কিনা স্কুলের নারী শিক্ষকের সঙ্গে করমর্দন করতে চাননি এই যুক্তিতে যে, তাদের ধর্মমতে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে করমর্দন করা নিষিদ্ধ। ওই ঘটনায় সুইজারল্যান্ডে ব্যপক সমালোচনা হয়। কারণ, সুইজারল্যান্ডে এই প্রথা খুবই গভীরভাবে প্রোথিত যে, শিক্ষক বা শিক্ষিকার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের করমর্দন শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নিমিত্তে। পরে সমালোচনার প্রেক্ষিতে ওই দুই ভাইকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
মেয়র জুনোদ বলেন, কয়েক মাস আগে ওই দম্পত্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য ছিল তারা নাগরিকত্ব প্রাপ্তির যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছেন কিনা তা যাচাই করা। কিন্তু শুক্রবার প্রকাশ করা এক সিদ্ধান্তে জানা যায়, ওই দম্পত্তি সমাজে পর্যাপ্ত মাত্রায় একীভূত হতে পারেননি। মেয়র ওই দম্পত্তির জাতীয়তা বা বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘তারা বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে করমর্দন করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিপরীত লিঙ্গের প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দিতে তারা বেশ অনিচ্ছুক বলে মনে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম মনে করেন, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিবিশেষ ব্যতিত বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে কোনো ধরণের শারীরিক সংস্পর্শে আসা নিষিদ্ধ। মেয়র বলেন, দেশের আইনে ধর্ম ও ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে ধর্মীয় চর্চা আইনের আওতাধীন নয়।
শহরের ভাইস মেয়র পিয়েরে আন্তোয়েন হিল্ডব্রান্ড ছিলেন তিন সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিশনের সদস্য যারা ওই দম্পত্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তিনি বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তে তিনি খুবই সন্তুষ্ট। তার ভাষ্য, ‘সংবিধান এবং নারী-পুরুষের সমতার স্থান গোঁড়ামির উর্ধ্বে।’
খবরে বলা হয়, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে ৩০ দিন সময় আছে ওই দম্পত্তির।
তবে করমর্দন নিয়ে সুইজারল্যান্ডে আলোচনা তৈরি হওয়ার এটিই একমাত্র ঘটনা নয়। ২০১৬ সালে, দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ে দুই সিরিয়ান ভাইকে ভর্তি হতে দেয়া হয়, যারা কিনা স্কুলের নারী শিক্ষকের সঙ্গে করমর্দন করতে চাননি এই যুক্তিতে যে, তাদের ধর্মমতে বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে করমর্দন করা নিষিদ্ধ। ওই ঘটনায় সুইজারল্যান্ডে ব্যপক সমালোচনা হয়। কারণ, সুইজারল্যান্ডে এই প্রথা খুবই গভীরভাবে প্রোথিত যে, শিক্ষক বা শিক্ষিকার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের করমর্দন শ্রদ্ধা প্রদর্শনের নিমিত্তে। পরে সমালোচনার প্রেক্ষিতে ওই দুই ভাইকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।