শেষের পাতা
‘কার কাছে গেলে ছেলেকে ফেরত পাবো’
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তারা। এ কর্মসূচিতে মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও যোগ দেন। তারা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে যোগ দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম বলেন, আমার বাবা কোনো অপরাধ করেনি। আমার বাবাকে ছেড়ে দিন। বাবাকে ছাড়া আমি ঈদ করতে পারবো না। বাবার সঙ্গে ঈদ করতে দিন। ঈদের আগে বাবাকে ছেড়ে দিন। কোটা আন্দোলনের আরেক নেতা তারিকুল ইসলামের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পাঠিয়েছিলাম। আন্দোলন করে সে এখন কারাগারে। কার কাছে গেলে ছেলেকে ফিরে পাব?’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হাতে দড়ি বেঁধে ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ না। মানুষকে কথা বলতে দিন। সব জায়গায় ভূত দেখা ছাড়েন। ভুল পথে চালিত হবেন না। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছিল নিরাপদ আন্দোলন। এটি সরকারবিরোধী বা সরকার পতনের কোনো আন্দোলন ছিল না। দেশের ১৬ কোটি মানুষই চায় সড়ক নিরাপদ হোক।
যেহেতু এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি (অবৈধ সরকার), তাই তারা যে কোনো আন্দোলনকে ভয় পায়, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভয় পায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলেন, যেভাবে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কর্মসূচিতে প্রখ্যাত ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমেরও মুক্তি দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে যোগ দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম বলেন, আমার বাবা কোনো অপরাধ করেনি। আমার বাবাকে ছেড়ে দিন। বাবাকে ছাড়া আমি ঈদ করতে পারবো না। বাবার সঙ্গে ঈদ করতে দিন। ঈদের আগে বাবাকে ছেড়ে দিন। কোটা আন্দোলনের আরেক নেতা তারিকুল ইসলামের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পাঠিয়েছিলাম। আন্দোলন করে সে এখন কারাগারে। কার কাছে গেলে ছেলেকে ফিরে পাব?’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হাতে দড়ি বেঁধে ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ না। মানুষকে কথা বলতে দিন। সব জায়গায় ভূত দেখা ছাড়েন। ভুল পথে চালিত হবেন না। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছিল নিরাপদ আন্দোলন। এটি সরকারবিরোধী বা সরকার পতনের কোনো আন্দোলন ছিল না। দেশের ১৬ কোটি মানুষই চায় সড়ক নিরাপদ হোক।
যেহেতু এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি (অবৈধ সরকার), তাই তারা যে কোনো আন্দোলনকে ভয় পায়, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভয় পায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলেন, যেভাবে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কর্মসূচিতে প্রখ্যাত ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমেরও মুক্তি দাবি করা হয়।