বাংলারজমিন
জাবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
জাবি প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের দুই ছাত্রলীগ কর্মী। আহত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মোকাররম হোসেন শিবলু ও সোহান রেজা সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। জানা যায়, টাকা লেনদেন কেন্দ্র করে সকালে ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী আল রাজীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় সম্পাদক গ্রুপের কর্মী মোকাররম হোসেন শিবলুর। পরে সিনিয়ররা ডেকে তা সমাধান করে দেয়। কিন্তু দুপুর ২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল রাজি ছুরি নিয়ে পুনরায় হামলা করে শিবলুর ওপর। শিবলুকে বাঁচাতে গেলে আরেক কর্মী সোহান রেজা ও জখম হয়। আহত দুই কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শিবলু বলেন, সকালের ঝামেলা সিনিয়ররা মীমাংসা করে দিয়েছে। কিন্তু দুপুরে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম শেষ করে আমি যখন হলে ঢুকতে যাব তখন ই আল রাজি ছুরি নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। অভিযুক্ত আল রাজি বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা, আমি টাকা পাইতাম সে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শুধু হাতাহাতি হইছে।’
জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছি। এটা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তবু ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ শফি মু তারেক জানান, ‘ঘটনা জেনেছি, এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেই সঙ্গে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়াও চলছে। আহত দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয়ভার হল প্রশাসন বহন করবে।’
আহত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘অভিযোগপত্র পেয়েছি। যেহেতু এটা হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই হল প্রশাসনকেও একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেব।’
জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েছি। এটা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব তবু ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ শফি মু তারেক জানান, ‘ঘটনা জেনেছি, এটা ক্রিমিনাল অফেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে সেই সঙ্গে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়াও চলছে। আহত দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয়ভার হল প্রশাসন বহন করবে।’
আহত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘অভিযোগপত্র পেয়েছি। যেহেতু এটা হলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই হল প্রশাসনকেও একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যাবস্থা নেব।’