বাংলারজমিন
সন্তানের স্বীকৃতির মামলায় সেই শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত
মুকসুদপুর-গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে স্কুলশিক্ষিকার সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে করা মামলায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সি রুহুল আসলামকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নার্গিস সাজেদা সুলতানার স্বাক্ষর সম্বলিত এক প্রজ্ঞাপনে রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গত ৫ই জুন থেকে বরখাস্তের এই আদেশটি কার্যকর করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মুন্সি রুহুলের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। গত ১৩ই আগস্ট ওই শিক্ষিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে তার গর্ভজাত সন্তান মুন্সি আবরার রুহিত ও শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সি রুহুল আসলামের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ থানার এসআই বকুল আহমেদ জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে আদালতের নির্দেশে তাদের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত জানা যাবে। ২০১০ সালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এখানে চাকরির সুবাদেই ভুক্তভোগী শিক্ষিকার সঙ্গে তার পরিণয় ও পরিচয় ঘটে। এরই সূত্র ধরে এক সময় রুহুল আসলাম বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই শিক্ষিকাকে তার ভাড়া বাসায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। গত ২০১২ সালে ওই শিক্ষিকা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আসলাম মৌলভী ডেকে শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়ে করেন। এরপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু বিবাহ রেজিস্ট্রি করার কথা বললে শিক্ষা কর্মকর্তা নানান অজুহাত দেখান এবং টালবাহানা শুরু করেন। এরই মধ্যে ২০১৪ সালে ওই শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকেই রুহুল আসলাম কৌশলে নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকেন। কাশিয়ানী উপজেলা থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এমতাবস্থায় এক পর্যায়ে ওই সন্তানকে অস্বীকার করেন তিনি।