বাংলারজমিন
সরিষাবাড়ীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ আহত ২০
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আলহাজ জুটমিলের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলন চলাকালে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাবে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য, শ্রমিক পথচারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় জুট মিল গেট থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হয়ে স্ট্রেশন রোড় সরিষাবাড়ী প্রেস ক্লাব চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে আলহাজ জুট মিলটি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে রাতের অন্ধকারে মালিক পক্ষ মিলটি বন্ধ ঘোষণা করে। এর পর থেকে মিলের শ্রমিকরা মিল খুলে দেয়াসহ বকেয়া বেতন ভাতার দাবি আদায়ের জন্য মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গত বুধবার মাইকিং করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি-ভুঞাপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও কাঠের গুঁডি ফেলে সড়কে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় সড়কে ৪ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বিঘিœতসহ, সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্ট্রেশনের অগ্নি নির্বাপনে গাড়ি চলাচলে ব্যাহত হয়। এদিকে আন্দোলনকারীদের ছাত্রভঙ্গ করতে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের এএসআই ফরহাদ ও শফিক শ্রমিকের উপর লাঠিচার্জ করা মাত্র শ্রমিকরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশও পাল্টা পাটকেল ছোড়ে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটে। অবশেষে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে গিয়ে প্রেস ক্লাব ও প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সুলভ মিডিয়া সেন্টারসহ বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিলে শ্রমিকরা লাঠি ও রেলের টুকরো পাথর দিয়ে বৃষ্টির মতো ব্যাপক ডিল ছুটতে থাকে। এতে ওইসব প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ছোড়া পাথরের আঘাতে পুলিশের এএসআই ফরহাদ, শাহাদত হোসেন, ইয়াসমীন, পুলিশ সদস্য তাসলিমা আক্তারও হ্যাপী, ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী, শ্রমিক আবুল হোসেন, জাহানারাসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে আলহাজ জুট মিলটি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে রাতের অন্ধকারে মালিক পক্ষ মিলটি বন্ধ ঘোষণা করে। এর পর থেকে মিলের শ্রমিকরা মিল খুলে দেয়াসহ বকেয়া বেতন ভাতার দাবি আদায়ের জন্য মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গত বুধবার মাইকিং করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি-ভুঞাপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও কাঠের গুঁডি ফেলে সড়কে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় সড়কে ৪ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে পথচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বিঘিœতসহ, সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্ট্রেশনের অগ্নি নির্বাপনে গাড়ি চলাচলে ব্যাহত হয়। এদিকে আন্দোলনকারীদের ছাত্রভঙ্গ করতে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের এএসআই ফরহাদ ও শফিক শ্রমিকের উপর লাঠিচার্জ করা মাত্র শ্রমিকরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশও পাল্টা পাটকেল ছোড়ে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটে। অবশেষে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে গিয়ে প্রেস ক্লাব ও প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সুলভ মিডিয়া সেন্টারসহ বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিলে শ্রমিকরা লাঠি ও রেলের টুকরো পাথর দিয়ে বৃষ্টির মতো ব্যাপক ডিল ছুটতে থাকে। এতে ওইসব প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ছোড়া পাথরের আঘাতে পুলিশের এএসআই ফরহাদ, শাহাদত হোসেন, ইয়াসমীন, পুলিশ সদস্য তাসলিমা আক্তারও হ্যাপী, ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী, শ্রমিক আবুল হোসেন, জাহানারাসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।