বাংলারজমিন
হাওরে মাছের বাজারে আকাল
অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
হাওর বাঁওড়ের দেশ আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশ। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা হচ্ছে মেঘনা, ধলেশ্বরী, কুশিয়ারা নদী বেষ্টিত একটি বৃহত্ত হাওর অঞ্চলে অবস্থিত। যেখানে ছিল গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর নদী ভরা মাছ। কালের আবর্তে আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নদীতে আজ মাছের বড় আকাল। মাছে ভাতে বাঙালি এ শব্দটি গ্রামের মানুষ ভুলে যেতে বসেছে। আর জেলেরা যতটুকু মাছ নদী থেকে পায় তাও মহাজনের অগ্রিম দাদন বাবদ পরিশোধ করে দেয়। যা থাকে তা থেকে চড়া দরে বাজারে বিক্রি করে থাকেন। ক্রেতারা তাদের সামান্য উপার্জনের টাকা দিয়ে মাছ ক্রয় করেন। সরকার নদী উন্মোক্ত ঘোষণা করলেও জেলেদের ভাগ্য বরাবরের মতো মতোই রয়ে গেছে। এক সময়ের জেলেরা জানত জাল যার নদী তার, আজ হয়তো জানে নদীতে মাছ ধরতে হলে ইজারাদের নগদ টাকা দিতে হয়। এমনি চিত্র অষ্টগ্রাম উপজেলার জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে থেকে পাওয়া যায়। অষ্টগ্রামের অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক জেলে। এদের একমাত্র উপার্জনের উৎস্য হচ্ছে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা। তাদের একটা বিরাট অংশ রয়েছে কলমা ইউনিয়নের জনগণ। কিন্তু প্রতিনিয়ত নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক শ্রেণির প্রভাবশালীদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। এভাবে নির্যাতন চলতে থাকলে একদিন হয়তো জেলেদের অন্যত্র চিন্তা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। বাজারে থাকবে না মাছ বিক্রেতাদের মনোরমা পরিবেশ। একদিকে যেমন নদীতে নেই মাছ অন্যদিকে জেলেদের উন্মোক্ত আবাসনের অভাব। এ ব্যাপারে লিটন দাস ভাটীনগরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কিশোরগঞ্জ ৪ অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিটামইন আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৈফিকেয়ের সঙ্গে দেখা করেন। সাক্ষাতে তিনি বলেন, সরকার নদীতে জেলেদের মাছ ধরার উন্মোক্ত ঘোষণা দিয়েছেন। তাই তাদের উন্মোক্ত নদীতে মাছ ধরতে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ পেয়ে ভাটীনগর গ্রামের লোকজন এখনো নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই অশুভ দুষ্কৃতকারীদের কবল থেকে মুক্ত করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাধারণ জেলেদের মাছ ধরার উন্মুক্ত করতে সরকারের প্রতি অষ্টগ্রামের জেলে সম্প্রদায়ের জোরালো দাবি।