দেশ বিদেশ
ডিসেম্বরের শেষদিকে নির্বাচন- ইসি সচিব
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষদিকে নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে ইসি প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, সংসদের প্রথম অধিবেশন ২৯শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই হিসেবে ৩০শে জানুয়ারি থেকে আমাদের কাউন্টডাউন শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সেই হিসেবে অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার সকল প্রস্তুতি আছে। তবে নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষার্ধে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচনের শতকরা ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কমিশন যে নির্দেশনা দেবে তা বাস্তবায়ন করবো। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি হিসেবে যা যা করা দরকার তার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাদা একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সামনে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো সেগুলোর চেকলিস্ট তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছে। চেকলিস্টে কোন বিষয়গুলো থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, চেকলিস্টে তিনশ’ আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত, ভোটকেন্দ্রগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়েছে কিনা, আরো ভোটকেন্দ্র তালিকাভুক্তির প্রয়োজন আছে কিনা, ব্যালট পেপারের জন্য কাগজ কেনা, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দসহ নির্বাচনের জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়গুলো থাকবে। পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও আছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি কতটুকু। নির্বাচনের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবার অবহিতকরণসহ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ইসি সচিব জানান, ভোটার তালিকার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আমাদের ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র আছে, আরো পাঁচ হাজার কেন্দ্র বাড়তে পারে। এগুলোর খসড়া তালিকা জেলা-উপজেলায় প্রকাশ করা হয়েছে। যারা স্টেকহোল্ডার আছে তাদের যদি কোনো আপত্তি থাকে সে বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হবে, সেগুলো সরজমিন তদন্ত করে তারা নিষ্পত্তি করে আমাদের কাছে গেজেট নোটিশ পাঠাবে। এছাড়াও নির্বাচন সামগ্রী ক্রয়ের যে বিষয়টি রয়েছে ইতিমধ্যে যারা টেন্ডার আহ্বান করেছে তাদের আমরা কার্যাদেশ প্রদান করেছি। তারা সহসাই আমাদের মালামালগুলো সরবরাহ করবে। আগামী ৫ ও ৬ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেমবোসা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছর সার্ক দেশসমূহের প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে ফেমবোসা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী ৫ ও ৬ই সেপ্টেম্বর দু’দিনব্যাপী ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। হোটেল রেডিসনে স্পিকার শিরীন শারমিন সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আটটি দেশের নির্বাচন নিয়ে ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন। তফসিল ঘোষণার আগে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, আয়োজক দেশ হিসেবে আমরা এ সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু সার্কভুক্ত দেশগুলো এখানে অংশ নেবে ফলে আমরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো গ্রহণ করতে পারি। কোন দেশে কীভাবে নির্বাচন হচ্ছে, নির্বাচনের পদ্ধতিগুলো কি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে কীভাবে নির্বাচন করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হবে।