বাংলারজমিন
সাভারে স্কুলছাত্র হত্যা, গ্রেপ্তার ২
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
সাভারের তালবাগ এলাকার দশ বছরের স্কুলছাত্র আবিদকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হলো তার বন্ধুদের হাতে। একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। কিন্তু বাপ মার কাছ থেকে এ যাওয়াই যে আবিদের শেষ যাওয়া কে জানতো? নির্মমভাবে ঘাড় মটকে তাকে হত্যা করে তারই বন্ধুরা। তার চেহারা বিকৃত করতে মুখমণ্ডল ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়। আবিদকে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। গতকাল সকালে সাভারের তালবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া বন্ধুদের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্র রোহান ইসলাম আবিদ। সকালে সাভারে বংশী নদীর ভাগলপুর বালুঘাট এলাকা থেকে বস্তায় ভর্তি ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহটি উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। নিহত রোহান ইসলাম আবিদ (১০) সাভারের তালবাগ মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কিডস ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ এক্সিলেন্সির পিএসসির ছাত্র। এছাড়া আটকরা হলো- আবিদের বন্ধু গোলাম আজম ও রাহুল। তারা দু’জনেই পার্শ্ববর্তী শওকত মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। নিহতের বাবা আফজাল হোসেন বলেন, বুধবার দুপুরে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে আমার ছেলেকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় রাহুল, গোলাম আজম, রহিমসহ কয়েকজন ছেলে। এরপর সে আর সারা দিনে বাসায় ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকালে ভাগলপুর বালুঘাট থেকে বস্তার ভেতরে ভর্তি আবিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও প্রতিবেশী শওকতের দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে আবিদের বালু মাখা প্যান্ট পাওয়া গেছে। প্রতিবেশীরা জানায়, আবিদ খুবই চঞ্চল, সাহসী এবং মিশুক ছেলে ছিল। সবার সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক। এতো সুন্দর একটি বাচ্চাকে কীভাবে ঘাড় মটকে ও ইট দিয়ে থেঁতলে মেরেছে পাষণ্ডরা। তার এই অকাল মৃত্যু পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুলক হক বলেন, নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদসহ একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আবিদকে ঘাড় মটকে হত্যার পর চেহারা নষ্ট করার জন্য ইট দিয়ে মুখমণ্ডল থেঁতলানো হয়েছে।