বাংলারজমিন

শৈলকুপার ইউএনও’র সঙ্গে প্রতারণা, শ্রীঘরে যুবক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

দেখতে স্মার্ট। শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। পরিচয় দেয় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে রসায়ন বিভাগে বিএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। তার দুইটি কিডনি বিকল। পিতা নাই। এমন কথা শুনে যেকোনো মানুষই পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবে না। কিন্তু না সে প্রতারক। মানুষের আবেগ ও সরলতাকে পুঁজি করে এমন শঠতার আশ্রয় নিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধরা খেয়েছে আমিরুল নামে এক প্রতারক। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর গ্রামে। পিতার নাম আব্দুল মান্নান ফারাজী। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণির কাছে প্রতারণা করতে গিয়ে আমিরুলের সব চালাকি ধরা পড়ে এবং শ্রীঘরে পাঠানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভুয়া সনদ, ডাক্তারী রিপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণি তার ফেসবুকে লেখেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার রুমে প্রবেশ করেই প্রতারক যুবক বলল, শৈলকুপা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম তার পরিচিত। এ জন্য আমার কাছে এসেছে। তখনই আমার সন্দেহ হয়। পরে জেরা করে জানা গেল সবই ভুয়া। জীবনে কোনোদিন স্কুলে যায়নি, তবে নাম স্বাক্ষর করতে পারে বলে পরে জানায়। ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে ইউপি চেয়ারম্যান, ২ জন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সরকারি দপ্তরে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে টাকা আদায় করছে। সন্দেহ হলে জেরা করা শুরু হলে, শুরু হয় তার অভিনয়। তবে শেষ রক্ষা হলো না। এতবড় প্রতারককে জেলেই যেতে হলো। ইউএনও ফেসবুকে লেখেন, সকলের প্রতি অনুরোধ, বাইরে থেকে এ ধরনের কেউ সাহায্যের জন্য এলে যাচাই না করে টাকা দিবেন না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status