বাংলারজমিন
বরুড়ায় শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সমপ্রতি উপজেলার ১৫৪টি প্রাথমিক বিদালয়ের আন্তঃস্কুল ক্রীড়ার জন্য ২ হাজার ১শ’ টাকা বরাদ্দ হলে ওই কর্মকর্তা প্রত্যেক স্কুলকে ১ হাজার ৪শ’ টাকা করে প্রদান করেন। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও তার অর্ধেকই তিনি কমিশন বাবদ রেখে দেন। অভিযোগ রয়েছে ওই কর্মকর্তা মেয়েদের এপ্রোন ও ছেলেদের কাব ড্রেস নিজের পছন্দ অনুযায়ী সরবরাহ করার কথা বলে প্রতিটি ড্রেসে চার থেকে পাঁচ শত টাকা বেশি নিয়েছেন। তিনি যে ড্রেস সরবরাহ করেছেন তা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরনের অনুপযোগী। নিয়ম মোতাবেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা সামগ্রী ক্রয় করার কথা, কিন্তু তিনি তার মনমতো করে তা ক্রয় ও সরবরাহ করছেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে ৫০০ টাকা আদায় করে মোট ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১ম মডেল টেস্ট প্রশ্ন দিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৪০ টাকা হারে আদায় করে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সমপ্রতি ৬৯জন সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাওয়ায় ৬৯টি পদে সহকারী শিক্ষক পদ পূরণ করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম অনিয়মের অভিযোগে তার পূর্বেকার কর্মস্থল ফেনীর ফুলগাজী ও কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তাকে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী জানান, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একজন দুর্নীতিবাজ। গোটা বরুড়ার প্রাথমিক শিক্ষা ভেঙ্গে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে আমি মন্ত্রণালয়ে ২টি লিখিত অভিযোগ করেছি যার তদন্ত কয়েক দিনের মধ্যে আসবে। তা ছাড়া ওই অফিসার পূর্বের কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে তদন্তও হয়েছে। তদন্ত করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। বরুড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কাপড় ও ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় করেছেন শিক্ষকরা, কোনো ক্রয়ের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও বরুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী জানান, ‘উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একজন দুর্নীতিবাজ। গোটা বরুড়ার প্রাথমিক শিক্ষা ভেঙ্গে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে আমি মন্ত্রণালয়ে ২টি লিখিত অভিযোগ করেছি যার তদন্ত কয়েক দিনের মধ্যে আসবে। তা ছাড়া ওই অফিসার পূর্বের কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে তদন্তও হয়েছে। তদন্ত করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। বরুড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কাপড় ও ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় করেছেন শিক্ষকরা, কোনো ক্রয়ের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।