রকমারি
সীমান্ত অঞ্চলের অজানা সমস্যা
পিয়াস সরকার
১৭ আগস্ট ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের প্রায় চারপাশে বেষ্টিত ভারত সীমান্ত। সীমান্তে অপরাধের অনেক চিত্র আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে অবগত হই। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত অধিকাংশ এলাকাজুড়ে নির্মাণ করেছে কাঁটাতারের বেড়া। আবার কাঁটাতার ঘেরা অঞ্চলে বিএসএফ সদস্যদের দ্বারা গুলি করে হত্যার ঘটনাও অজানা নয়। কিন্তু এর মাঝেও অজানা রয়ে যায় এসব এলাকার বেশ কিছু সমস্যা।
সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয় নিজেদের এলাকায়। তাই কাঁটাতারের বাইরে ভারতের কিছু স্থান থেকে যায়। আবার এসব জমি অবিন্যস্ত হওয়ায় ভারতীয় এবং পাশাপাশি থাকে বাংলাদেশি মালিকানার জমিও। যার ফলে কৃষি কাজে পোহাতে হয় নানা সমস্যা। এসব জমিসহ ২০০-২৫০ গজের ভেতরে আবাদ করতে দেয়া হয় না এমন ফসল যেগুলোর উচ্চতা তিন ফিটের বেশি। যার কারণে কৃষকরা আবাদ করতে পারছেন না পাট, ভুট্টা, আখ ইত্যাদি ফসল। ফলে অবধারিতভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। বিজিবি সদস্যরা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ। যাতে কেউ এই উঁচু ফসলের ক্ষেতে লুকিয়ে চোরাচালানে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হয়। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটীর কৃষক আবদুস ছাত্তার জমিতে এই পাট চাষের প্রস্তুতি নিলে বিজিবি তাকে লাঠিপেটা পর্যন্ত করেন। এই অভিযোগ শুধু তারই নয় রয়েছে অনেকেরই। নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন এই এলাকার কৃষকেরা। সমস্যার নাম পুকুর খনন। কাঁটাতার থেকে প্রায় ৩শ’ গজ দূরে বাড়ির সামনে পুকুর খননে বাধা সৃষ্টি করছেন বিএসএফ সদস্যরা। নাজমুল হকের বাড়ির সামনে পুকুর খনন করার কাজ শুরু হলে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের অভিযোগ জানান। তাই পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে ভরাট করে ফেলতে হয়। কারণ বিএসএফ সদস্যদের ধারণা এসব পুকুরের তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করতে পারে সুরঙ্গ। আবার ভারতীয় কাঁটাতারে দেয়া হয়েছে উচ্চমাত্রার আলো। এসব আলো সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে। ফলে এই আলোর প্রভাবে বাড়ছে পোকামাকড়। অধিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হচ্ছে কীটনাশক। রাতে আলোর কারণে ফসলে আসছে না পাখি। পাখি না বসার কারণে প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় কমছে না। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এসব কৃষি জমি চাষ দেয়ার সময়েও আছে ঝামেলা। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিতে না দেয়ায় গরুর সাহায্যে দিতে হয় চাষ। যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ। এসব জমি বিক্রিতেও পড়তে হয় বিপাকে। অনেক কম মূল্যে বিক্রি করতে হয় তাও কিনতে চান না ক্রেতারা। চাইলেও সীমান্ত অঞ্চলে নির্মাণ করা সম্ভব হয় না নতুন স্থাপনা, এমনকি কুড়ে ঘরও।
সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয় নিজেদের এলাকায়। তাই কাঁটাতারের বাইরে ভারতের কিছু স্থান থেকে যায়। আবার এসব জমি অবিন্যস্ত হওয়ায় ভারতীয় এবং পাশাপাশি থাকে বাংলাদেশি মালিকানার জমিও। যার ফলে কৃষি কাজে পোহাতে হয় নানা সমস্যা। এসব জমিসহ ২০০-২৫০ গজের ভেতরে আবাদ করতে দেয়া হয় না এমন ফসল যেগুলোর উচ্চতা তিন ফিটের বেশি। যার কারণে কৃষকরা আবাদ করতে পারছেন না পাট, ভুট্টা, আখ ইত্যাদি ফসল। ফলে অবধারিতভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। বিজিবি সদস্যরা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ। যাতে কেউ এই উঁচু ফসলের ক্ষেতে লুকিয়ে চোরাচালানে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিতে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে না হয়। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটীর কৃষক আবদুস ছাত্তার জমিতে এই পাট চাষের প্রস্তুতি নিলে বিজিবি তাকে লাঠিপেটা পর্যন্ত করেন। এই অভিযোগ শুধু তারই নয় রয়েছে অনেকেরই। নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন এই এলাকার কৃষকেরা। সমস্যার নাম পুকুর খনন। কাঁটাতার থেকে প্রায় ৩শ’ গজ দূরে বাড়ির সামনে পুকুর খননে বাধা সৃষ্টি করছেন বিএসএফ সদস্যরা। নাজমুল হকের বাড়ির সামনে পুকুর খনন করার কাজ শুরু হলে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবি সদস্যদের অভিযোগ জানান। তাই পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে ভরাট করে ফেলতে হয়। কারণ বিএসএফ সদস্যদের ধারণা এসব পুকুরের তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করতে পারে সুরঙ্গ। আবার ভারতীয় কাঁটাতারে দেয়া হয়েছে উচ্চমাত্রার আলো। এসব আলো সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে। ফলে এই আলোর প্রভাবে বাড়ছে পোকামাকড়। অধিক মাত্রায় ব্যবহার করতে হচ্ছে কীটনাশক। রাতে আলোর কারণে ফসলে আসছে না পাখি। পাখি না বসার কারণে প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় কমছে না। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। এসব কৃষি জমি চাষ দেয়ার সময়েও আছে ঝামেলা। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ দিতে না দেয়ায় গরুর সাহায্যে দিতে হয় চাষ। যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ। এসব জমি বিক্রিতেও পড়তে হয় বিপাকে। অনেক কম মূল্যে বিক্রি করতে হয় তাও কিনতে চান না ক্রেতারা। চাইলেও সীমান্ত অঞ্চলে নির্মাণ করা সম্ভব হয় না নতুন স্থাপনা, এমনকি কুড়ে ঘরও।