অনলাইন

তাদের উদ্দেশ্য কি?

স্টাফ রিপোর্টার

১৬ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:৩১ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাস দুর্ঘটনায় দুটি শিশু মারা গেলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসে। কারা উসকানি দিয়েছে? ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে দিয়েছি। এর সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, মিডিয়া ব্যবহার করে তারা উসকানি দিয়ে দিয়ে, মিথ্যা কথা বলে বলে দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য কি? প্রধানমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৫ ই আগষ্ট উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের মধ্যে অনেক জ্ঞানী-গুনী, নামিদামি, অনেক বড় ইন্টেলেকচুয়াল, অনেক কিছু তারা। তাদের রক্তের সূত্রটা কোথায়? যারা পাকিস্তানী চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরই বংশধরদের থেকে শুরু করে অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। আবার তাদের ধরলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খুব হইচই হয়। কেন? যত বড়ই হোক না কেন কেউ যদি অন্যায় করে, কেউ যদি উসকানি দেয়, ছোটো ছোটো কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করতে চায় কোন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি মনে করেন খুব নামিদামি লেখক, সাংবাদিক, পন্ডিত হলেই তাদের অপরাধ আর অপরাধ নয়। তাদের অপরাধ সব ধৃুয়ে মুছে যাবে। তারা প্রটেকশন পাবে। কেন? অনেকেই কি করেছে তা না জেনেই লেখেন। লিখতে পারেন খুব ভালো কথা। পত্রিকাও আছে। আর আমাদের সরকারের আমলে সবার বাক স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাধীনতা ভোগ করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ সমর্থনে লিখেই ফেললেন। কিন্তু কি অন্যায়টা করতে চাচ্ছিলো, দেশটাকে কোনদিকে নিতে চাচ্ছিলো, সেটা কি তারা উপলব্ধি করেন? তারা অনেক জ্ঞানী, ভালো লেখক ও অনেক জনপ্রিয় হতে পারেন। কিন্তু তাদের ভেতরে কি দেশ ও জাতির জন্য এইটুকু দায়িত্ববোধ থাকবে না।

তিনি বলেন, কেউ যদি এই ধরনের শিশুদের ব্যবহার করে তাদের ওপরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়, তাহলে কি তাদেরকে বাহ্বা দিতে হবে? আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সেটাই কি অন্যায় হয়ে যাবে? দেশকে রক্ষা করা দেশের মানুষকে রক্ষা করা এটাই তো আমাদের কর্তব্য। প্রথম দুই দিন শিশুরা রাস্তায়। আপনারা দেখেছেন, সবাই ধৈর্য্য দেখিয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী সবাই। তাদেরকে সবরকমের সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু যখন তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেলো, দেখা গেলো শার্টের ওপর স্কুল ড্রেস পরা। দর্জিরা হিমশিম খাচ্ছে স্কুল ড্রেস বানাতে। প্রচুর স্কুল ড্রেস তৈরি হচ্ছে আর সেগুলো পরে আসছে। কেউ ভাত মাখায় খাওয়াচ্ছে। কেউ হা করে ভাত নিচ্ছে। কিন্তু দেখা গেলো হাতের নিচ দিয়ে স্কুল ড্রেসের নিচে শার্টের হাতা বেরিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বুড়োরা হঠাৎ শিশু হতে চাইলো কেন? উদ্দেশ্যটা কি? পেছনে ব্যাগ, ব্যাগের ভেতর থেকে দা বেরোচ্ছে, চাইনিজ কুড়াল বেরোচ্ছে, পাথর বেরোচ্ছে, লাঠিসোটা বেরোচ্ছে। স্কুলের ছেলেদের হাতে তো এগুলো থাকার কথা না। তাদের ব্যাগে তো বই থাকবে। সেখানে দা, চাইনিজ কুড়াল আর অস্ত্র-শস্ত্র থাকবে না। তাহলে এরা কোন স্কুলের ছাত্র? তাহলে এদেরকে গ্রেপ্তার করলে তাদের দুঃখ, তাদের হাহাকার।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ার যেসব সাংবাদিক আমাদের দেশের তারা কি চোখ খুলে এসব দেখবেন না। উসকানি দাতাদের গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে আর্টিকেল লিখতে পারেন। আর এই যে অন্যায়গুলো করার চেষ্টা করেছিল, একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাদের কি এর বিরুদ্ধে কলম ওঠে না? কলমের কালি ফুরিয়ে গেলো? তারা লিখতে পারছেন না? তাদের ভাষা বন্ধ হয়ে গেছে। কেন বন্ধ হলো তাহলে? ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেলো বলে? যে যতই বড়ই হোক কেউ যদি কোন অন্যায় করে তার কি বিচার হবে না বাংলাদেশের মাটিতে?
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status