এক্সক্লুসিভ

আশায় বুক বাঁধছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা

রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে

১৬ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

আর কিছুদিন পরই কোরবানির ঈদ। এই ঈদে মানুষের মূল আকর্ষণই হচ্ছে গরু কোরবানি। সাদ আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে মানুষজন পছন্দের পশু ক্রয় করে কোরবানি দিয়ে থাকেন। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু পালনকারী খামারিদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। কোরবানির হাটে ভালো দাম পেতে প্রস্তুত করা হচ্ছে খামারের বিভিন্ন জাতের গরুগুলো। নিরাপদ গো-মাংস উৎপাদনে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছে খামারিরা। জেলায় ছোট-বড় মিলে  মোট গরুর খামার রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। তবে খামারিরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করা গরু নিয়ে শঙ্কিত।

সরজমিন মানিকগঞ্জের কয়েকটি গরুর খামারে গিয়ে দেখা গেল খামারিদের ব্যস্ততা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তারা গরুগুলো পরম মমতা দিয়ে লালন পালন করছে। দেশীয় পদ্ধতি অবলম্বন করেই তারা গরু মোটা তাজা করছে। কথা হয় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর কৃষ্ণপুর গ্রামের আসলাম হোসেনের সঙ্গে। বেশ কয়েক বছর সৌদি আরব ছিলেন তিনি। গত চার মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে গরু পালন শুরু করেছেন। ইন্টারনেটের ইউটিউব চ্যানেলে গরু পালন দেখে তিনি গরু পালনে আগ্রহী হন। তার খামারে বর্তমানে রয়েছে ২১টি গরু। কোরবানির ঈদে এসব গরু বিক্রি করবেন।   আসলাম হোসেন বলেন, শখের বশেই গরুর খামার করেছি। সৌদি থেকে এসে বেকার হয়ে বসে থাকতে হবে ভেবেই এই গরুর খামার। ইন্টারনেটের ইউটিউব চ্যানেলে গরু পালন দেখে আমি মূলত এতে আগ্রহী  হয়ে পড়ি। প্রথমে ১০ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়েছিলাম। পড়ে আরো ৭ লাখ টাকা বৃদ্ধি করে এখন পুঁজি ১৭ লাখ টাকা।  আমার এখানে মোট ২১টি ষাঁড় গরু আছে। বড় ষাঁড় গরু কমপক্ষে ৭-৮ মণ ওজন হবে। আশা করছি কোরবানির ঈদে ভালো দাম পাবো। তবে আসলাম হোসেন শংকিত রয়েছেন ভারতের গরু নিয়ে।
জানালেন, সরকারের কাছে দাবি যাতে ভারত থেকে কোনো গরু আমদানি না করা হয়। আমাদের দেশে যে গরু আছে তা দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। গরু মোটা তাজাকরণ প্রসঙ্গে বলেন, কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে না। যেমন কাঁচা ঘাস, খড়, ভূষি, ভুট্টার ভাঙা গরুগুলো খাওয়ানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমি একশরও উপরে গরু আমার খামারে পালন করার ইচ্ছা রাখি। প্রাকৃতিক উপায়ে তার খামারে সিন্ধি, পাকিস্তানি, অস্ট্রেলিয়ানসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে।  মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের খান্নু মিয়ার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, সাদা-কালো রঙের মস্ত বড় সুঠাম দেহের অধিকারী একটি ষাঁড় গরু। ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা, ৮ ফুট লম্বা ও ১২ ফুট বুকের মাপের আকৃতি এই গরুর ওজন ৫২ মণ। গরুর নাম রাখা হয়েছে রাজাবাবু।  কোরবানির ঈদে এই রাজা বাবুকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজাবাবুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রয়েছে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। আর রাতে নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। সবারই প্রশ্ন খান্নু মিয়া কি খাইয়ে এত বড় গরু বানালো। খান্নু মিয়ার দাবি কোনো কৃত্রিম পদ্ধতি নয়। একেবারে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেছেন তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status