এক্সক্লুসিভ

শায়েস্তাগঞ্জে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

১৬ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা ও শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রিজসহ কয়েকটি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। কোরবানির জন্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় পশু ভালো মানের আমদানি হচ্ছে হাটগুলোতে। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি কোরবানির জন্য পশুর দাম অনেক কম থাকায় ক্রেতারা পশু কিনছেন অতি আনন্দে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, ক্রেতারা সামর্থ্যানুযায়ী পশু কেনার জন্য বিভিন্ন হাট চষে বেড়াচ্ছেন। বিক্রেতারা কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ার আশায় পশু নিয়ে ছুটছেন হাট থেকে হাটে। ভারতীয় গরু এখনও পর্যন্ত দেশে না আসায় দেশীয় গরুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। তবে দাম রয়েছে নাগালে। এদিকে, ঈদের এখনও বেশ কিছুদিন বাকি থাকায় বাজারে গরু বেশি থাকলেও ক্রেতারা ক্রয় না করে দাম দর করে চলে যাচ্ছেন। গরু বিক্রেতারা বলছেন ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গরুর বাজার জমে উঠবে।

গত মঙ্গলবার বিকালে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ পশুরহাটে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা সারি সারি গরু সাজিয়ে রেখেছেন। বিক্রেতারা লাল কালো সাদাসহ বিভিন্ন বর্ণের ছোট-বড় গরুরহাটে তুলেছেন। আবদুর রহিম ও শাহেদ নামে এক ক্রেতা জানান, ঈদের এখনও বেশ কিছুদিন বাকি রয়েছে। তাই এখন গরু দেখতে এসেছি। দামে দরে মিললে হয়তো কিনতেও পারি। ছালামত উল্লাহ নামে এক গরু বিক্রেতা জানান, এখনও বাজারে গরু বেচা-কেনা তেমন হচ্ছে না। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গরু বেচা-কেনা জমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও এবারের ঈদে ভারতীয় গরু না আসলে দেশীয় গরুর খামারিরা লাভবান হবে বলে তিনি জানান।

শায়েস্তাগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে মসলার দাম বাড়ছে-
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: শায়েস্তাগঞ্জের সকল দোকানে পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গরম মসলার দাম নাগালের বাইরে। এর মধ্যে এলাচির দাম প্রতি কেজিতে আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য মসলার দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২০/৩০ টাকা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন মসলার বাজারে আর দাম বাড়বে না। গতকাল সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জের মসলার দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা নয়নাভিরাম সাজে মসলা সাজিয়ে রেখেছেন। পাইকারি দোকানগুলোতে প্যাকেটজাত মসলা বিক্রি করা হচ্ছে। আর খুচরা দোকানগুলোতে উন্মুক্ত অবস্থায় রেখেই মসলাগুলো বিক্রি করছেন। আবার অনেকে মৌসুমি মসলার ব্যবসায়ী হিসেবে বাইরে বসে মসলা বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, লং, এলাচি, দারুচিনি, জিরা জাতীয় মসলাগুলো সাধারণত কোরবানির ঈদে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। কারণ ঈদুল আযহায় দেশে প্রচুর গরু কোরবানি হয়। যারা কোরবানি দেন তাদের কোরবানির একটি অংশ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। এ হিসাবে সবার বাড়িতে মাংস রান্না করতে হয়। এসব মাংস রান্না করতে গিয়ে মসলার প্রয়োজন হয়। মসলা বিক্রেতা জানান, ঈদুল আযহার সময় আমরা সারা বছর যে মসলা বিক্রি করি এর চেয়ে দ্বিগুণ মসলা বিক্রি হয়। এজন্য মসলার দাম কিছু বেড়ে যায়। তবে এবার মসলার আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দাম তেমন একটা বেশি বৃদ্ধি পায়নি। প্রতি কেজিতে ২০/৩০টাকা বেড়েছে। একটু বেশি বেড়েছে এলাচির দাম। এলাচি প্রতি কেজি আগে পাইকারি ১২শ’ থেকে সাড়ে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হতো। এখন প্রতি কেজি এক হাজার ৫৭০ থেকে এক হাজার ৬শ’ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা বাজারে প্রতি কেজি এলাচি ১ হাজার ৭শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও তেল, পিয়াজ, রসুন, গুঁড়া মরিচ, হলুদসহ অন্যান্য জিনিসের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জের জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের আগে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করেছি ৩৩০ টাকা কেজি, এখন প্রতি কেজি জিরা বিক্রি করছি সাড়ে ৪শ’ টাকা, এলাচি প্রতি কেজি ১ হাজার সাড়ে ৭শ’ থেকে ১ হাজার ৮শ‘ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। লং প্রতি কেজি ৯শ’ টাকার স্থলে ১ হাজার টাকা, দারুচিনি ২৮০ টাকার স্থলে সাড়ে ৩শ’ টাকা, কালো গোল মরিচ সাড়ে ৬শ’ টাকার স্থলে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও পিয়াজ, রসুন, গুঁড়া মরিচ, গুড়া হলুদসহ সকল প্রকার মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি। রাস্তায় খুচরা গরম মসলা বিক্রেতা রঞ্জিত রায় জানান, এখনো পুরোদমে গরম মসলা বিক্রি শুরু হয়নি। কয়েকদিন পর পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে। এখন দূরের লোকজন বাজারে এসে মসলা ক্রয় করছেন। তবে নিম্ন আয়ের লোকজন সব মিলিয়ে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকার গরম মসলা ক্রয় করছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status