শেষের পাতা
বাংলাদেশের সব এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার উন্মুক্ত
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৫ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
দশ এজেন্সির একচেটিয়া বাণিজ্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশের বৈধ সব এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার উন্মুক্ত করলো দেশটির নতুন সরকার। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ গতকাল দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে বিদেশি কর্র্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সভায় বিস্তর অভিযোগ উত্থাপনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিতর্কিত ওই ১০ এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার কথা জানান। কুয়ালালামপুরের খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইন জানিয়েছে- মাহাথির বলেছেন তার সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে উৎস রাষ্ট্রগুলোতে কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই স্বতন্ত্র সিস্টেম বা পদ্ধতি চালু করবে। কারণ তার সরকার বর্তমানে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের নিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার সবার জন্য সমান সুযোগের একটি পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ, নেপালসহ অন্যান্য সব রাষ্ট্র ওই স্বতন্ত্র সিস্টেমের আওতায় থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. তুন মাহাথির বলেন- সবাই একই সিস্টেম মেনে চলবে। তিনি বলেন- এ অবস্থায় যে সিস্টেমে ১০টি অথরাইজ এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছিলো, তা স্থগিত করা হয়েছে এবং দেশটির সব বৈধ এজেন্সির জন্য এটি উন্মুক্ত করা
হয়েছে ৷
আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১০টি এজেন্টের অনুমতি ছিল। ফলে শ্রমিক নিয়োগে একটি একচেটিয়া বা মনোপলি সিচুয়েশন সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- বাংলাদেশ থেকে একজন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে এজেন্সিকে ২০ হাজার রিঙ্গিত অর্থাৎ বাংলাদেশি অর্থে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। মনোপলি ওই অবস্থার অবসান কামনা করে তিনি বলেন- এজন্যই আমরা দেশটির সব বৈধ এজেন্টের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করেছি। ফলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে শ্রমিকদের সুবিধা হবে। ২০১৬ সাল থেকে ওই প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ওই বছরে ১০,০০০ বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পায়।
যেখানে অপেক্ষায় ছিল এক লাখেরও বেশি শ্রমিক। অভিযোগ রয়েছে- ১০টি অনুমোদিত এজেন্টের অনেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করেন মাত্র। তাদের শুধুমাত্র টার্গেট অর্থ কামাই করা। মাহাথির আরো বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে চান তিনি। যে দেশ থেকেই কর্মী নিয়োগ দেয়া হোক না কেন, সবাইকে ওই স্বাধীন কমিশনের একক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে চান। মাহাথির জানান, একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ওই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর দেখাশোনা করা হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণের প্রতিও নজর রাখা হবে।
বাংলাদেশ, নেপালসহ অন্যান্য সব রাষ্ট্র ওই স্বতন্ত্র সিস্টেমের আওতায় থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ড. তুন মাহাথির বলেন- সবাই একই সিস্টেম মেনে চলবে। তিনি বলেন- এ অবস্থায় যে সিস্টেমে ১০টি অথরাইজ এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছিলো, তা স্থগিত করা হয়েছে এবং দেশটির সব বৈধ এজেন্সির জন্য এটি উন্মুক্ত করা
হয়েছে ৷
আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১০টি এজেন্টের অনুমতি ছিল। ফলে শ্রমিক নিয়োগে একটি একচেটিয়া বা মনোপলি সিচুয়েশন সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন- বাংলাদেশ থেকে একজন শ্রমিককে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে এজেন্সিকে ২০ হাজার রিঙ্গিত অর্থাৎ বাংলাদেশি অর্থে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। মনোপলি ওই অবস্থার অবসান কামনা করে তিনি বলেন- এজন্যই আমরা দেশটির সব বৈধ এজেন্টের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করেছি। ফলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে শ্রমিকদের সুবিধা হবে। ২০১৬ সাল থেকে ওই প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ওই বছরে ১০,০০০ বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পায়।
যেখানে অপেক্ষায় ছিল এক লাখেরও বেশি শ্রমিক। অভিযোগ রয়েছে- ১০টি অনুমোদিত এজেন্টের অনেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করেন মাত্র। তাদের শুধুমাত্র টার্গেট অর্থ কামাই করা। মাহাথির আরো বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে চান তিনি। যে দেশ থেকেই কর্মী নিয়োগ দেয়া হোক না কেন, সবাইকে ওই স্বাধীন কমিশনের একক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে চান। মাহাথির জানান, একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ওই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর দেখাশোনা করা হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণের প্রতিও নজর রাখা হবে।