খেলা
ফাইনাল রাউন্ডে যেতে পারলেই খুশি শুটাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক সাফল্যের সিংহভাগ সাফল্যই এসেছে শুটারদের হাত ধরে। সর্বশেষ কমনওয়েলথ গেমসেও রৌপ্য জিতেছেন দুই শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি ও শাকিল আহম্মেদ। আসন্ন এশিয়ান গেমসে তাদেরকে ঘিরে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্মকর্তারা। তবে আশার কথা শোনাতে পারেননি ফেডারেশন কর্মকর্তারা। এশিয়ান গেমস থেকে আজ পর্যন্ত কোনো পদক জিততে পারেননি শুটাররা। ইন্দোনেশিয়ার এই আসরেও পদকের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। তবে এই আসরে শুটাররা শুট আউটে (ফাইনাল রাউন্ড) যেতে পারলেই তিনি খুশি। ‘পালেম্বাং এশিয়ান গেমসে পুরুষ এয়ার রাইফেল ও এয়ার পিস্তল এবং মহিলা এয়ার রাইফেলে আমাদের লক্ষ্য সেরা আট’-বলেন এই কর্মকর্তা।
এবারের এশিয়ান গেমসে কাবাডি, ফুটবল ও হকির পরই বাংলাদেশ থেকে বড় দল যাচ্ছে শুটিংয়ের। ২১ সদস্যের দলে ১৬ জন শুটার। গেমসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিশ্র দলগতে অর্নব শারার ও সৈয়দা আতকিয়া হাসান, ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিশ্র দলগতে নূর হাসান আলিফ, আরদিনা ফেরদৌস লড়বেন। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্যক্তিগত ইভেন্টে আবদুল্লাহেল বাকি ও রিসালাতুল ইসলাম, মহিলাদের এই ইভেন্টে উম্মে জাকিয়া সুলতানা ও শারমিন আক্তার রত্না খেলবেন। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে রবিউল ইসলাম ও শোভন চৌধুরী, পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে শাকিল আহমেদ ও পিয়াস হোসেন অংশ নেবেন। মহিলাদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে সুরাইয়া আক্তার ও শারমিন শিল্পা এবং মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে খেলবেন আরদিনা ফেরদৌস ও আরমিন আশা। বাবার অসুস্থতার জন্য ইন্দোনেশিয়ায় যেতে পারছেন না লন্ডন প্রবাসী ট্র্যাপ শুটার কাইসুর মিয়া। ইনচন এশিয়ান গেমসে ছিলেন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত কাইসুরের বাবা। গৌহাটি এসএ গেমসে পিস্তল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন শাকিল আহমেদ। এরপর ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতার লক্ষ্যে দু’জন নতুন বিদেশি কোচ নিয়োগ দেয় ফেডারেশন। তারা হলেন- ডেনমার্কের হাই পারফরম্যান্স রাইফেল কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেন ও মন্টেনেগ্রোর পিস্তল কোচ মার্কো সকিচ। ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের ২০২০ টোকিও অলিম্পিক এবং মার্কোর এ বছর পর্যন্ত চুক্তি ছিল। ক্লাভসের তত্ত্বাবধানে কমনওয়েলথ গেমসে পদকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন শুটার আবদুল্লাহেল বাকি। স্কটল্যান্ডের পর গোল্ডকোস্টেও ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপা জেতেন তিনি। মার্কোর তত্ত্বাবধানে গোল্ডকোস্ট থেকে ৫০ মিটার এয়ার পিস্তলে দ্বিতীয় রুপা এনে দেন শুটার শাকিল। মার্কোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি শুটিং ফেডারেশন। ফিরিয়ে আনা হয় আগে কাজ করা দক্ষিণ কোরিয়ান কিম কালইয়াংকে। এনিয়ে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক অপু বলেন,
‘পৃথিবীতে শুটিংয়ে এশিয়ানরাই প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে। চীন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের শুটাররা সেরা। তারা সব দিক দিয়ে এগিয়ে। আর আমরা অলিম্পিকে খেলি ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে। এশিয়ান গেমসে যদি পদক জিততে পারি, তাহলে অলিম্পিকেও আশাবাদী হতে পারি।’ প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। তবে প্রস্তুতি হওয়া উচিত ছিল আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে। এশিয়ান গেমসের আগে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল, যেখানে অংশ নেয়া উচিত ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে গেলে আন্তর্জাতিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। ঘরোয়াভাবে নিলে হয় না। আমাদের ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছে বিওএ ও ক্রীড়া পরিষদ। তারা যদি বলে যা অর্থ প্রয়োজন তা নেন, কিন্তু দু’মাসের অনুশীলনে পদক এনে দেন- এটা সম্ভব নয়। বড় গেমসের জন্য প্রস্তুতিটা দীর্ঘমেয়াদি হওয়া দরকার।’ তিনি যোগ করেন, ‘দু’বছর ধরে গোলাবারুদ আমদানি করতে পারছি না। সরকারি অনুমতি নেই। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। তাহলে কীভাবে হবে? তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে তিন ইভেন্টে সেরা আটে খেলা।’ প্রস্তুতি ভালো হলেও পদকের কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য জয়ী শুটার আবদুল্লাহেল বাকী। এশিয়ান গেমসের মতো বৈশ্বিক আসরে শুটআউটে যেতে পারলেই খুশি এই শুটার।
এবারের এশিয়ান গেমসে কাবাডি, ফুটবল ও হকির পরই বাংলাদেশ থেকে বড় দল যাচ্ছে শুটিংয়ের। ২১ সদস্যের দলে ১৬ জন শুটার। গেমসের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিশ্র দলগতে অর্নব শারার ও সৈয়দা আতকিয়া হাসান, ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিশ্র দলগতে নূর হাসান আলিফ, আরদিনা ফেরদৌস লড়বেন। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্যক্তিগত ইভেন্টে আবদুল্লাহেল বাকি ও রিসালাতুল ইসলাম, মহিলাদের এই ইভেন্টে উম্মে জাকিয়া সুলতানা ও শারমিন আক্তার রত্না খেলবেন। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে রবিউল ইসলাম ও শোভন চৌধুরী, পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে শাকিল আহমেদ ও পিয়াস হোসেন অংশ নেবেন। মহিলাদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে সুরাইয়া আক্তার ও শারমিন শিল্পা এবং মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে খেলবেন আরদিনা ফেরদৌস ও আরমিন আশা। বাবার অসুস্থতার জন্য ইন্দোনেশিয়ায় যেতে পারছেন না লন্ডন প্রবাসী ট্র্যাপ শুটার কাইসুর মিয়া। ইনচন এশিয়ান গেমসে ছিলেন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত কাইসুরের বাবা। গৌহাটি এসএ গেমসে পিস্তল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন শাকিল আহমেদ। এরপর ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে পদক জেতার লক্ষ্যে দু’জন নতুন বিদেশি কোচ নিয়োগ দেয় ফেডারেশন। তারা হলেন- ডেনমার্কের হাই পারফরম্যান্স রাইফেল কোচ ক্লাভস ক্রিস্টেনসেন ও মন্টেনেগ্রোর পিস্তল কোচ মার্কো সকিচ। ক্লাভস ক্রিস্টেনসেনের ২০২০ টোকিও অলিম্পিক এবং মার্কোর এ বছর পর্যন্ত চুক্তি ছিল। ক্লাভসের তত্ত্বাবধানে কমনওয়েলথ গেমসে পদকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন শুটার আবদুল্লাহেল বাকি। স্কটল্যান্ডের পর গোল্ডকোস্টেও ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপা জেতেন তিনি। মার্কোর তত্ত্বাবধানে গোল্ডকোস্ট থেকে ৫০ মিটার এয়ার পিস্তলে দ্বিতীয় রুপা এনে দেন শুটার শাকিল। মার্কোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি শুটিং ফেডারেশন। ফিরিয়ে আনা হয় আগে কাজ করা দক্ষিণ কোরিয়ান কিম কালইয়াংকে। এনিয়ে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক অপু বলেন,
‘পৃথিবীতে শুটিংয়ে এশিয়ানরাই প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে। চীন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের শুটাররা সেরা। তারা সব দিক দিয়ে এগিয়ে। আর আমরা অলিম্পিকে খেলি ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে। এশিয়ান গেমসে যদি পদক জিততে পারি, তাহলে অলিম্পিকেও আশাবাদী হতে পারি।’ প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। তবে প্রস্তুতি হওয়া উচিত ছিল আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে। এশিয়ান গেমসের আগে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ছিল, যেখানে অংশ নেয়া উচিত ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে গেলে আন্তর্জাতিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। ঘরোয়াভাবে নিলে হয় না। আমাদের ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছে বিওএ ও ক্রীড়া পরিষদ। তারা যদি বলে যা অর্থ প্রয়োজন তা নেন, কিন্তু দু’মাসের অনুশীলনে পদক এনে দেন- এটা সম্ভব নয়। বড় গেমসের জন্য প্রস্তুতিটা দীর্ঘমেয়াদি হওয়া দরকার।’ তিনি যোগ করেন, ‘দু’বছর ধরে গোলাবারুদ আমদানি করতে পারছি না। সরকারি অনুমতি নেই। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই। তাহলে কীভাবে হবে? তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে তিন ইভেন্টে সেরা আটে খেলা।’ প্রস্তুতি ভালো হলেও পদকের কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য জয়ী শুটার আবদুল্লাহেল বাকী। এশিয়ান গেমসের মতো বৈশ্বিক আসরে শুটআউটে যেতে পারলেই খুশি এই শুটার।