বাংলারজমিন
ব্লেড দিয়ে সিজার
সেই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৫ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে প্রসূতিকে ব্লেড দিয়ে সিজারে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় সেই পল্লী চিকিৎসক লাল মোহন বর্মণ (৪৫) কে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্ত এলাকার জিরো লাইন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় লাল মোহনের অপর সহযোগী উপজেলার বালিজুরী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিন পুলিশি ধাওয়ার মুখে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালিয়ে গেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মুহিত মিয়া নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত পল্লী চিকিৎসক লাল মোহন উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের বড়খলা গ্রামের মদন মোহন বর্মণের ছেলে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলার বড়খলা গ্রামের সুজিত বর্মণের স্ত্রী শৌমরী বর্মণের প্রসব ব্যথা উঠলে বড়খলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক লালমোহন বর্মণ ও পার্শ্ববর্তী বালিজুরী গ্রামের অপর পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিনকে ডাকা হয়। তারা প্রসূতিকে দেখে গর্ভের নবজাতককে মৃত বলে গর্ভপাতের পরামর্শ দেন প্রসূতির স্বামীকে। কিন্তু গ্রামের ধাত্রী রাজু বেগম ও প্রসূতি নিজেই বাধা দিয়ে জানান- সন্তান জীবিত আছে, পেটের ভেতর নড়াচড়াও করছে বলে প্রসূতি অনুভব করছেন। একপর্যায়ে দুই পল্লী চিকিৎসক ব্লেড দিয়ে জরায়ুর মুখ কেটে নবজাতককে বের করে আনলে নবজাতকের মাথার বেশ কিছু অংশ কেটে যায়। তড়িঘড়ি করে পল্লী চিকিৎসকরা নবজাতকের মাথায় ৫টি এবং প্রসূতির অধিক রক্তক্ষরণ হলে তার জরায়ুর মুখে ১৭টি সেলাই দেয়। পরে পরিবারের লোকজন নবজাতকের নড়াচড়া দেখে তাৎক্ষণিক প্রসূতি ও নবজাতককে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উপজেলার বড়খলা গ্রামের সুজিত বর্মণের স্ত্রী শৌমরী বর্মণের প্রসব ব্যথা উঠলে বড়খলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক লালমোহন বর্মণ ও পার্শ্ববর্তী বালিজুরী গ্রামের অপর পল্লী চিকিৎসক নুরুল আমিনকে ডাকা হয়। তারা প্রসূতিকে দেখে গর্ভের নবজাতককে মৃত বলে গর্ভপাতের পরামর্শ দেন প্রসূতির স্বামীকে। কিন্তু গ্রামের ধাত্রী রাজু বেগম ও প্রসূতি নিজেই বাধা দিয়ে জানান- সন্তান জীবিত আছে, পেটের ভেতর নড়াচড়াও করছে বলে প্রসূতি অনুভব করছেন। একপর্যায়ে দুই পল্লী চিকিৎসক ব্লেড দিয়ে জরায়ুর মুখ কেটে নবজাতককে বের করে আনলে নবজাতকের মাথার বেশ কিছু অংশ কেটে যায়। তড়িঘড়ি করে পল্লী চিকিৎসকরা নবজাতকের মাথায় ৫টি এবং প্রসূতির অধিক রক্তক্ষরণ হলে তার জরায়ুর মুখে ১৭টি সেলাই দেয়। পরে পরিবারের লোকজন নবজাতকের নড়াচড়া দেখে তাৎক্ষণিক প্রসূতি ও নবজাতককে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে নবজাতকের মৃত্যু হয়।