দেশ বিদেশ
এমাজউদ্দীনকে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া জবানবন্দি সম্বলিত পুস্তকে সম্পাদক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীনের নাম আসার প্রেক্ষিতে পুলিশ যদি তাকে গ্রেপ্তার করে তাহলে পুলিশই তাকে সঙ্গে সঙ্গে জামিন দেবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. হাফিজ উদ্দিন ও বিচারপতি মো. কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশে বলা হয়, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদকে যদি পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাহলে পুলিশই তাকে জামিন দেবে এবং তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। আদালতে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। তারা জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া জবানবন্দি পুস্তকাকারে প্রকাশের অভিযোগে কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজনের নামে মামলা ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন কার্টন বই উদ্ধার করা হয়। বইতে প্রিন্টার ও প্রকাশকের কোনো নাম ছিল না। শুধু বইয়ের এডিটর হিসেবে প্রফেসর এমাজউদ্দীনের নাম লেখা রয়েছে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এ ঘটনায় প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশার্স অ্যাক্ট এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে, মামলার এজাহারে প্রফেসর এমাজউদ্দীনের নাম ছিল না। তারপরও আমরা আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিই। তিনি বলেন, যেহেতু তার নাম এজাহারে নেই সেহেতু জামিন সংক্রান্ত কোনো আদেশও দেয়া যায় না। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আদেশ দিয়েছেন যে, পুলিশ যদি তাকে গ্রেপ্তার করে তাহলে পুলিশ তাকে জামিন দেবে এবং তারপরে তিনি ট্রায়াল কোর্টে হাজির হবেন।