শেষের পাতা
কমলাপুরে টিকিটের জন্য লড়াই
স্টাফ রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
ঈদুল আজহায় স্বজনদের সঙ্গে কোরবানি দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে নগরবাসী। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার জন্য চাই যাওয়ার বন্দোবস্ত। বাস বা ট্রেনের টিকিট। এরই মধ্যে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। গতকাল ছিল ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিন। আগামী ১৯শে আগস্টের টিকিটের জন্য এদিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ওইদিন সারা দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে ৬৮টি ট্রেন। এর ৩৫টি আন্তঃনগর এবং বাকিগুলো মেইল ও স্পেশাল সার্ভিস। গতকাল ট্রেনগুলোর ২৬ হাজার ৮৯৫টি টিকিট বিক্রির কথা ছিল। তা সংগ্রহের জন্য হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশী অপেক্ষমাণদের লাইন এঁকেবেঁকে স্টেশন ছাড়িয়ে রাস্তায় চলে যায়। টিকিটের জন্য মানুষ আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই রেলস্টেশনে এসে হাজির। অনেকের নির্ঘুম রাত কাটে রেলস্টেশনে। আবার কেউ কেউ মেঝেতে শুয়ে-বসে, খেয়ে না খেয়ে লাইনে অপেক্ষার প্রহর গোনে। কেউ পত্রিকা বা কাগজ বিছিয়ে, কেউ চাদর, আর কেউবা মেঝেতেই বসে রাত কাটান। তার ওপর ভোগান্তি ও বিরক্তি দ্বিগুণ করেছে মশার কামড়। টিকিট পাওয়ার পর কারো কষ্ট সার্থক হয়েছে। মুখে হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে হতাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন।
তাদের একজন চট্টগ্রামের জিয়া উদ্দিন খোকন। মতিঝিলে কম্পিউটার মেরামতের দোকান তার। পরিবার নিয়ে থাকেন যাত্রাবাড়ীর কাজলায়। বৃদ্ধা মা বাসে চড়তে অস্বস্তিবোধ করেন। তাই সপরিবারে বাড়ি যাওয়ার জন্য চাই ট্রেনের ৪টা টিকিট। তা সংগ্রহ করতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে হাজির তিনি। পরদিন শুক্রবার টিকিট কাটার অপেক্ষায় থাকেন। তিনি বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বিকালে এসেছি। এসে দেখি আমার আগে লাইনে আরো ৬৩ জন অপেক্ষায় রয়েছেন। পত্রিকা বিছিয়ে বসে থেকে লাইনে সিরিয়াল দিই। সন্ধ্যা হতে লাইন আরো দীর্ঘ হয়। তবে শুক্রবার ভোর থেকে বেশি মানুষ আসে। ৭টা নাগাদ লাইন স্টেশনের বাইরে ছাড়িয়ে যায়। আমি সকাল সকাল সাড়ে ন’টার দিকে টিকিট পাই। টিকিট পাওয়ার পর সেই কষ্ট ভুলে গেছি। তবে লাইনে দাঁড়ানো সবাই টিকিট পায়নি বলে জানান তিনি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত বুধবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই দিন ১৭ই আগস্টের এবং পরদিন ১৮ই আগস্টের টিকেট বিক্রি হয়। শুক্রবার ১৯শে আগস্টের টিকেটের পর আজ শনিবার ২০ ও আগামীকাল রোববার ২১শে আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। একইভাবে আগামী ১৫ই আগস্ট থেকে শুরু হবে আগাম ফিরতি টিকিট বিক্রি। আগামি ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯শে আগস্ট ঈদ পরবর্তী ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮শে আগস্টের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি প্রতিরোধে র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, এবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ট্রেনের উপর প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে। শুক্রবার ৬৮টি ট্রেনের ২৬ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
তাদের একজন চট্টগ্রামের জিয়া উদ্দিন খোকন। মতিঝিলে কম্পিউটার মেরামতের দোকান তার। পরিবার নিয়ে থাকেন যাত্রাবাড়ীর কাজলায়। বৃদ্ধা মা বাসে চড়তে অস্বস্তিবোধ করেন। তাই সপরিবারে বাড়ি যাওয়ার জন্য চাই ট্রেনের ৪টা টিকিট। তা সংগ্রহ করতে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে হাজির তিনি। পরদিন শুক্রবার টিকিট কাটার অপেক্ষায় থাকেন। তিনি বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বিকালে এসেছি। এসে দেখি আমার আগে লাইনে আরো ৬৩ জন অপেক্ষায় রয়েছেন। পত্রিকা বিছিয়ে বসে থেকে লাইনে সিরিয়াল দিই। সন্ধ্যা হতে লাইন আরো দীর্ঘ হয়। তবে শুক্রবার ভোর থেকে বেশি মানুষ আসে। ৭টা নাগাদ লাইন স্টেশনের বাইরে ছাড়িয়ে যায়। আমি সকাল সকাল সাড়ে ন’টার দিকে টিকিট পাই। টিকিট পাওয়ার পর সেই কষ্ট ভুলে গেছি। তবে লাইনে দাঁড়ানো সবাই টিকিট পায়নি বলে জানান তিনি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত বুধবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই দিন ১৭ই আগস্টের এবং পরদিন ১৮ই আগস্টের টিকেট বিক্রি হয়। শুক্রবার ১৯শে আগস্টের টিকেটের পর আজ শনিবার ২০ ও আগামীকাল রোববার ২১শে আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। একইভাবে আগামী ১৫ই আগস্ট থেকে শুরু হবে আগাম ফিরতি টিকিট বিক্রি। আগামি ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯শে আগস্ট ঈদ পরবর্তী ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮শে আগস্টের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি প্রতিরোধে র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, এবার নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ট্রেনের উপর প্রচণ্ড চাপ যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে। শুক্রবার ৬৮টি ট্রেনের ২৬ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।