খেলা
এখনো জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন আশরাফুল
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় ৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়া মোহাম্মদ আশরাফুলের শাস্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ই আগস্ট। নিষেধাজ্ঞা শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএলে খেলার দরজা খুলে যাবে তার। বিপিএল-এ পারফর্ম করেই বাংলাদশের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান স্বপ্ন দেখছেন আবারো জাতীয় দলে খেলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেও আশরাফুল দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পান ২০১৬ সালে।
ক্রিকইনফোকে আশরাফুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ২০১৮ সালের ১৩ই আগস্টের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করার পর থেকে পাঁচটি বছর কেটে গেছে। যদিও আমি গত দুই মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, এখন জাতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমাকে কোনও কিছু আটকাতে পারবে না। আবারো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারা হবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।’ এই দুই মৌসুমে ভালো সময় কেটেছে আশরাফুলের। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে পাঁচটি লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি ছিল তার। একটি লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে এমন কীর্তি কেবল আর একজনের, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট মোমেন্টাম ওয়ানডে কাপে ২০১৫-১৬ মৌসুমে আলভিরো পিটারসনের। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পাওয়ার পর ২৩ লিস্ট ‘এ’ খেলে ৪৭.৬৩ গড়ে রান করেছেন। তবে প্রথম শ্রেণির ফর্ম ততটা ভালো ছিল না, ১৩ ম্যাচে মাত্র একটি সেঞ্চুরি এবং ব্যাটিং গড় ২১.৮৫ রান। তবে লম্বা ফরম্যাটেও ভালো করার প্রত্যয় আশরাফুলের কণ্ঠে, ‘আমার ফেরার পর প্রথম মৌসুম ভালো কাটেনি। কিন্তু ২০১৭-১৮ মৌসুমে ভালো করেছিলাম। পরের মৌসুমে আমি আরো ভালো করবো আশা করি। আমার পারফরম্যান্স দিয়ে এখন আমি দলে ঢোকার যোগ্য। আমি এরই মধ্যে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ছিলাম এবং পরের মৌসুমের জাতীয় ক্রিকেট লীগের জন্য ১৫ই আগস্টের পর আমি প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে যোগ দেবো।’
২০১৪ সালের জুনে বিপিএলের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ৮ বছর নিষিদ্ধ করে আশরাফুলকে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল শাস্তি কমিয়ে ৫ বছর করে, যার মধ্যে শেষ দুই বছর তুলে নেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনার আপিল করে বিসিবি ও আইসিসি ব্যর্থ হয়। বিসিবি বা আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার ভিত্তিতে তার শাস্তির মাত্রা কমে এবং ২০১৬ সালে ফেরেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।
আশরাফুলের ক্যারিয়ার
টেস্ট
ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
৬১ ১১৯ ২৭৩৭ ১৯০ ২৪.০০ ৬/৮
ওয়ানডে
১৭৭ ১৬৯ ৩৪৬৮ ১০৯ ২২.২৩ ৩/২০
টি-টোয়েন্টি
২৩ ২৩ ৪৫০ ৬৫ ১৯.৫৬ ০/২
ক্রিকইনফোকে আশরাফুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ২০১৮ সালের ১৩ই আগস্টের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করার পর থেকে পাঁচটি বছর কেটে গেছে। যদিও আমি গত দুই মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি, এখন জাতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমাকে কোনও কিছু আটকাতে পারবে না। আবারো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারা হবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।’ এই দুই মৌসুমে ভালো সময় কেটেছে আশরাফুলের। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে পাঁচটি লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি ছিল তার। একটি লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে এমন কীর্তি কেবল আর একজনের, দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট মোমেন্টাম ওয়ানডে কাপে ২০১৫-১৬ মৌসুমে আলভিরো পিটারসনের। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পাওয়ার পর ২৩ লিস্ট ‘এ’ খেলে ৪৭.৬৩ গড়ে রান করেছেন। তবে প্রথম শ্রেণির ফর্ম ততটা ভালো ছিল না, ১৩ ম্যাচে মাত্র একটি সেঞ্চুরি এবং ব্যাটিং গড় ২১.৮৫ রান। তবে লম্বা ফরম্যাটেও ভালো করার প্রত্যয় আশরাফুলের কণ্ঠে, ‘আমার ফেরার পর প্রথম মৌসুম ভালো কাটেনি। কিন্তু ২০১৭-১৮ মৌসুমে ভালো করেছিলাম। পরের মৌসুমে আমি আরো ভালো করবো আশা করি। আমার পারফরম্যান্স দিয়ে এখন আমি দলে ঢোকার যোগ্য। আমি এরই মধ্যে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ছিলাম এবং পরের মৌসুমের জাতীয় ক্রিকেট লীগের জন্য ১৫ই আগস্টের পর আমি প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে যোগ দেবো।’
২০১৪ সালের জুনে বিপিএলের দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ৮ বছর নিষিদ্ধ করে আশরাফুলকে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল শাস্তি কমিয়ে ৫ বছর করে, যার মধ্যে শেষ দুই বছর তুলে নেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনার আপিল করে বিসিবি ও আইসিসি ব্যর্থ হয়। বিসিবি বা আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেয়ার ভিত্তিতে তার শাস্তির মাত্রা কমে এবং ২০১৬ সালে ফেরেন ঘরোয়া ক্রিকেটে।
আশরাফুলের ক্যারিয়ার
টেস্ট
ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
৬১ ১১৯ ২৭৩৭ ১৯০ ২৪.০০ ৬/৮
ওয়ানডে
১৭৭ ১৬৯ ৩৪৬৮ ১০৯ ২২.২৩ ৩/২০
টি-টোয়েন্টি
২৩ ২৩ ৪৫০ ৬৫ ১৯.৫৬ ০/২