বাংলারজমিন
যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
হুমকির মুখে বাঁধ
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ। সরকারি বিধি বিধান উপেক্ষা করে অপরিকল্পিতভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাটপাঁচিলে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে একটি বালু কাটা ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার পরেও যমুনায় বালু উত্তোলন থেমে নেই। রাতের বেলা যমুনার বিভিন্ন পয়েন্টে ১২-১৩টি কাটিং (ড্রেজার) দিয়ে অবৈধভাবে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে দিনের বেলায় বালুভর্তি ভলগেটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডাম্পিং করা হচ্ছে। উপজেলার যমুনার ভাটি অঞ্চল বেড়া উপজেলায় বালুমহাল না থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একটি প্রতাপশালী সংঘবদ্ধ চক্র যমুনা নদী থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করায় একদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব। অন্যদিকে, বেড়া উপজেলায় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু প্রতিদিন অসংখ্য ভলগেটের মাধ্যমে শাহজাদপুরের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করায় স্থানীয় বৈধ বালুমহালের ইজারাদার বিগত অর্থবছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ দিয়ে বালুমহাল ইজারা নিয়ে চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
যমুনা তীরবর্তী এলাকাবাসী জানায়, অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে যমুনার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের ভাটপাড়া, লোহিন্দাকান্দী ও জগতলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। একই কারণে উপজেলার হাটপাঁচিল থেকে যমুনার উজানে এনায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায়ও নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। বেড়া পাউবো’র উপ-বিভাগ-১ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে শহীদুল আলম গত ২২শে মে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থিক সহায়তায় এফআরইআরএমআইপি প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাঁচিল থেকে আহম্মদপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। যমুনা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়কের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর বন্যা শেষে পেঁচাকোলায় যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫০ ফুট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগ প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ধসে যাওয়া অংশের সংস্কার কাজ শেষ করেছে। একইভাবে, যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিপূর্বেও শাহজাদপুরে যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ধসে যায়। বেড়ে যায় নদী ভাঙন। সরকারি অর্থের অপচয় হয় আর এলাকাবাসী হন ক্ষতিগ্রস্ত।
এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ জানান, ‘যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর যেকোনো পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন বাঁধের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। নদীর যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তার চার পাশের এলাকা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য প্রশাসনকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’
যমুনা তীরবর্তী এলাকাবাসী জানায়, অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে যমুনার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের ভাটপাড়া, লোহিন্দাকান্দী ও জগতলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। একই কারণে উপজেলার হাটপাঁচিল থেকে যমুনার উজানে এনায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায়ও নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। বেড়া পাউবো’র উপ-বিভাগ-১ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে শহীদুল আলম গত ২২শে মে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থিক সহায়তায় এফআরইআরএমআইপি প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাটপাঁচিল থেকে আহম্মদপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। যমুনা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়কের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর বন্যা শেষে পেঁচাকোলায় যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ১৫০ ফুট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগ প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ধসে যাওয়া অংশের সংস্কার কাজ শেষ করেছে। একইভাবে, যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিপূর্বেও শাহজাদপুরে যমুনা নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ধসে যায়। বেড়ে যায় নদী ভাঙন। সরকারি অর্থের অপচয় হয় আর এলাকাবাসী হন ক্ষতিগ্রস্ত।
এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হামিদ জানান, ‘যমুনা নদী ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর যেকোনো পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন বাঁধের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। নদীর যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তার চার পাশের এলাকা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য প্রশাসনকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’