অনলাইন
নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই : ভারতীয় মুখপাত্র
কলকাতা প্রতিনিধি
৯ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
আসামে খসড়া নাগরিকপঞ্জী নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের চিন্তিত হবার কোনও কারণ নেই। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরন রিজেজু এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের তরিকত ফেডারেশনের প্রধানকেও এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন। তবে বৃহষ্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সাপ্তাহিক বিফ্রিংয়ে মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশকুমার নাগরিকপঞ্জী নিয়ে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নাগরিকপঞ্জী তৈরির আগে এবং খসড়া প্রকাশের পরেও ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। রভীশকুমার বলেছেন, আমরা বারবার বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করেছি যে এখন পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী তৈরি হয়নি। যা হয়েছে সবটাই খসড়া মাত্র। এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই নাগরিকপঞ্জী তৈরির কাজ হচ্ছে। তার মতে, আসামে চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, নাগরিকপঞ্জী তৈরির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর কোনও বিরুপ প্রভাব ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের উপর পড়বে না। গত ৩০শে জুলাই আসামে নাগরিকপঞ্জীর ছূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেছে, ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। অভিযোগ, এরা সবাই বাঙালি। আবার অনেকে এদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ফলে আসামের বাঙালিদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী তৈরির পর যারা বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হবেন তারা কোথায যাবে, তাদের কি হবে তা নিয়ে সীমান্তের দুই পারেই আলোচনা চলছে। তবে দ্বিতীয দফায় নাগরিকপঞ্জীর খসড়া প্রকাশের পরেই বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করে গোটা পরিস্থিতি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নাগরিকপঞ্জী তৈরির আগে এবং খসড়া প্রকাশের পরেও ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। রভীশকুমার বলেছেন, আমরা বারবার বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করেছি যে এখন পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী তৈরি হয়নি। যা হয়েছে সবটাই খসড়া মাত্র। এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই নাগরিকপঞ্জী তৈরির কাজ হচ্ছে। তার মতে, আসামে চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেছেন, নাগরিকপঞ্জী তৈরির বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর কোনও বিরুপ প্রভাব ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের উপর পড়বে না। গত ৩০শে জুলাই আসামে নাগরিকপঞ্জীর ছূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেছে, ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। অভিযোগ, এরা সবাই বাঙালি। আবার অনেকে এদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ফলে আসামের বাঙালিদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী তৈরির পর যারা বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত হবেন তারা কোথায যাবে, তাদের কি হবে তা নিয়ে সীমান্তের দুই পারেই আলোচনা চলছে। তবে দ্বিতীয দফায় নাগরিকপঞ্জীর খসড়া প্রকাশের পরেই বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করে গোটা পরিস্থিতি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।