ভারত
এবার দিল্লি সফরে মাইজভান্ডারি
কলকাতা প্রতিনিধি
৮ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের নির্বাচনী বছরে সে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের ভারত সফর শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও একাধিকবার ভারতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন। ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সামনে ভাষণও দিয়েছেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে। কিছুদিন আগেই জাতীয় পার্টির নেতা হুসেইন মহম্মদ এরশাদ ভারত সফর করেছেন। তিনি আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। সরকারি দল ও সরকারের পাশাপাশি বিএনপির প্রতিনিধিরাও ভারতের শাসক দলের সঙ্গে আলেচনা করে গিয়েছেন। জানিয়ে গিয়েছেন ভারত সম্পর্কে দলের মনোভাবের পরিবর্তনের কথাও। এবার দিল্লির সফরে এসেছেন বাংলাদেশের সরকারের সহযোগী বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রধান অলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি। দিল্লি সফরে এসে তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজুজু এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌজন্যমূলক এই সব বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়েও কথা হযেছে বলে সুত্রের খবর। মাইজভান্ডারির এটিই প্রথম সরকারিভাবে ভারত সফর। নয়াদিল্লি থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যেমন বৈঠক করেছেন তেমনি ভারতীয় থিঙ্কট্রাঙ্কের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। মাইজভান্ডারি মিডিয়াকে বলেছেন, আমাদের ভাগ্য এক সুত্রে গাঁথা। তাই আমরা যদি নিরাপদ থাকি তবে ভারতও নিরাপদ থাকবে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের যাতে মায়ানমার ফেরত নেয় সেজন্য ভারতের সহায়তা চেয়ে নেতৃবৃন্দের কাছে আরজি জানিয়েছেন। ভারতের আসামের নাগরিকপঞ্জী থেকে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়েও তিনি বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় নেতৃবৃন্দ তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, একজনকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না। এই প্রসঙ্গে মাইজভান্ডারি বলেছেন, আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দেশের কাছে এটি খুবই আবেগপূর্ণ বিষয়। তাই ভারত থেকে দেওয়া ভাষণ ও বক্তব্য খুবই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ভারতের নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বাংলাদেশেও যে রাজনীতি চলছে সে কথার উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে নির্বাচন। বিএনপি এবং জামায়েত এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু করছে। তাই মমতা ও অন্য নেতারা যাদি এ নিয়ে কথা বলেন তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক।