বিশ্বজমিন
করুণানিধির প্রয়াণ, শোকের ছায়া ভারতে
মানবজমিন ডেস্ক
৮ আগস্ট ২০১৮, বুধবার, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
মারা গেলন ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মেথুভেল করুণানিধি। ৯৪ বছর বয়সী এই নেতা বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অনেক রাজনীতিবিদ। বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৯৬৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মোট ৫বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন করুণানিধি। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজ্যে ১৩ বার নির্বাচন করে প্রতিবারই জিতেছিলেন তিনি।
স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া করুণানিধি নাম কামিয়েছিলেন তামিল ছবির সফল স্ক্রিপ্টলেখক হিসেবে। তার মৃত্যুতে সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে আশঙ্কায় চেন্নাইয়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বহু সমর্থক রাজপথে জড়ো হয়েছেন।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তিনি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ ও তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জয়রাম জয়ললিতার বিপক্ষে লড়েন। ওই বছরই অবশ্য জয়ললিতা মারা যান।
প্রকাশ্যেই নিজেকে নাস্তিক ও যুক্তিবাদী বলতেন করুণানিধি। মূলত চল্লিশের দশকে তিনি দ্রাবিড়িয়ান আন্দোলনের অংশ হয়ে পরিচিতি পান। ওই আন্দোলন উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের আধিপত্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারে। পরবর্তীতে তামিলনাড়ুতে হিন্দি ভাষা-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েও জনপ্রিয় হন তিনি।
তার উপাধী ছিল কালাইগনার। তামিল এই শব্দের মানে হলো শিল্পী। তামিল চলচ্চিত্র ও সাহিত্যে তার অবদান ব্যপকভাবে স্বীকৃত। স্থানীয় কলামিস্ট ভাসকরন কৃষ্ণমুর্তি বলেন, ‘নিজের দীর্ঘায়ুতেই প্রোথিত ছিল করুণানিধির জনপ্রিয়তা। গত ছয় ও সাত দশকজুড়ে তামিলনাড়ুতে যা হয়েছে সবকিছুরই স্বাক্ষী তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি তামিল সাহিত্যে নতুন রূপ দিয়েছেন। তিনি গল্প, নাটক ও কবিতা রচনা করেছেন। নিজে একজন সংস্কারক। এই মাপের নেতা তিনি একাই।’
স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া করুণানিধি নাম কামিয়েছিলেন তামিল ছবির সফল স্ক্রিপ্টলেখক হিসেবে। তার মৃত্যুতে সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে আশঙ্কায় চেন্নাইয়ে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বহু সমর্থক রাজপথে জড়ো হয়েছেন।
মৃত্যুর আগপর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে তিনি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ ও তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী জয়রাম জয়ললিতার বিপক্ষে লড়েন। ওই বছরই অবশ্য জয়ললিতা মারা যান।
প্রকাশ্যেই নিজেকে নাস্তিক ও যুক্তিবাদী বলতেন করুণানিধি। মূলত চল্লিশের দশকে তিনি দ্রাবিড়িয়ান আন্দোলনের অংশ হয়ে পরিচিতি পান। ওই আন্দোলন উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের আধিপত্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারে। পরবর্তীতে তামিলনাড়ুতে হিন্দি ভাষা-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েও জনপ্রিয় হন তিনি।
তার উপাধী ছিল কালাইগনার। তামিল এই শব্দের মানে হলো শিল্পী। তামিল চলচ্চিত্র ও সাহিত্যে তার অবদান ব্যপকভাবে স্বীকৃত। স্থানীয় কলামিস্ট ভাসকরন কৃষ্ণমুর্তি বলেন, ‘নিজের দীর্ঘায়ুতেই প্রোথিত ছিল করুণানিধির জনপ্রিয়তা। গত ছয় ও সাত দশকজুড়ে তামিলনাড়ুতে যা হয়েছে সবকিছুরই স্বাক্ষী তিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি তামিল সাহিত্যে নতুন রূপ দিয়েছেন। তিনি গল্প, নাটক ও কবিতা রচনা করেছেন। নিজে একজন সংস্কারক। এই মাপের নেতা তিনি একাই।’