রকমারি

কালো বিড়াল রাস্তা কাটলে?

অনলাইন ডস্ক

৪ আগস্ট ২০১৮, শনিবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

ইউরোপে বিড়ালকে অলৌকিক ও অশুভ প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন লেখকদের উপন্যাস, রূপকথা, ভৌতিক গল্প ও উপকথায় কালো বিড়ালকে অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে দেখানোর প্রচলন রয়েছে সেই কবে থেকে। শুধু ইউরোপেই নয়, গোটা বিশ্ব জুড়েই কালো বিড়ালকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য অলৌকিক গল্প-কাহিনি। সাধারণত, এ সব রূপকথার গল্প কাহিনিতে দেখা যায় কালো বিড়াল মানুষের রূপ ধারণ করে ডাইনি, শয়তান বা দানবের অবতারে হাজির হয়। বাংলা সাহিত্যে বিড়ালের এমন ভৌতিক প্রচলন শুরু হয় আরও কিছু পরে। বিশেষ করে বাংলা ভৌতিক গল্পে কালো বিড়ালকে অতৃপ্ত আত্মা হিসেবে দেখানো হয়।

কালো বিড়ালকে ‘অশুভ’ বলে ধরা হয়। কালো বিড়াল নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। বিভিন্ন গল্পে শোনা যায়, অতীতের দিনে যখন গরুতে গাড়ি টানা হতো, তখন কালো বিড়াল রাস্তা পার করলে গরুদের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা যেত। সেই সময় গাড়ির গাড়োয়ান গরুদের শান্ত করতে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে দিতেন। পরে এই রেওয়াজই কুসংস্কারে পরিণত হয়।

অতীতের সেই ট্র্যাডিশন এখনও রয়েছে। অনেক সময় গাড়ির সামনে দিয়ে কালো বিড়াল চলে গেলে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। অনেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আসেন। কেউ আবার গাড়ির কাচে ক্রস চিহ্ন আঁকেন।

সমাজে এমন ধারণা প্রচলিত যে, কোনও শুভ কাজে যাত্রা করার সময় যাত্রাপথে কালো বিড়ালের দেখা পেলে তা এক অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এই কুসংস্কার এতটাই মানুষের মনে প্রোথিত যে অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান, অথবা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার যাত্রা শুরু করেন। এতে নাকি দোষ ‘কাটা’ যায়। আবার কেউ কেউ কালো বিড়ালকে অতিলৌকিক জগতের প্রতিনিধি বলে মনে করেন।

তবে যুক্তিবাদীদের বক্তব্য, কুসংস্কার নয়। বিড়ালের রাস্তা কাটা এবং গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার মধ্যে যুক্তি রয়েছে সামাজিক। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার অথবা হেঁটে যাওয়ার সময় কোনও বিড়াল রাস্তা পার হলে, তখন গাড়ি বা মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ে। তার প্রকৃত কারণ হিসেবে ধরা হয় যে, সাধারণত, বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের অন্য বড় আকৃতির পশুরা তাড়া করে। সেক্ষেত্রে বিড়ালকে দেখার পর একটু দাঁড়িয়ে গেলেই ভালো হয়। তাহলে বিপদের সম্ভাবনা কম থাকে।

সূত্র: এবেলা

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status