ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দেয়নি

ভারতে থাকা রোহিঙ্গাদের দেশটির সরকার শরণার্থী মর্যাদা  দেয়নি। একথা স্পষ্ট করে বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ।  তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুগত বসু জানতে চেয়েছিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি মেনে ভারত কি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? জবাবে রিজিজু বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী চুক্তিতে ভারত সই করেনি। আর যে কেউ ভারতে এসে দেশের নাগরিকদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারে না। সরকারে নীতি, আগে দেশের লোকের অধিকারকে সুরক্ষিত করা। তারপরে শরণার্থীদের। রিজিজু অভিযোগ করেছেন, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একাংশ নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও মনে করেন, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী, শরণার্থী নন। আর তাই ভারত সরকার এদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনা শুরুর আগে রাজ্যগুলি থেকে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। সোমবার লোকসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, প্রতিটি রাজ্যে কত সংখ্যক রোহিঙ্গা আছে, তা কেন্দ্রকে জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যগুলি থেকে তথ্য আসার পরে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্যে অনুপ্রবেশকারীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করবে কেন্দ্র। ততদিন রোহিঙ্গারা যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য তাদের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহেও। ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে অবৈধভাবে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। দ্বিতীয় স্থানে তেলঙ্গানা। পশ্চিমবঙ্গেও বেশকিছু রোহিঙ্গা পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছেন। জম্মুর বিজেপি সাংসদ যুগল কিশোর দাবি করেছেন, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে পাঠানো হোক।