অনলাইন
বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিলুপ্ত ধারায় মামলা না নেয়ার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ৬:১১ পূর্বাহ্ন
বিলুপ্ত হওয়া ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬ (২) ধারায় মামলা গ্রহণ না করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলায় জামিন শুনানিকালে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আদালত আদেশে বলেছেন, অস্তিত্বহীন আইন দিয়ে যেন জনগণকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করা হয়, সে জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, আইনের এ ধারাটি যেহেতু বাতিল ও এ আইনের কোনো অস্তিত্ব নেই তাই এ আইনের মামলা নেয়া বেআইনি।
এ আইনের বিবরণে জানা যায়, ১৯৯০ সালে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের পরে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি অধ্যাদেশ দিয়ে চুয়াত্তরের আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করেন। যা ১৯৯১ সালে বিএনপি সংসদে পাস করেছিল। পরে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে ‘ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক’ (প্রধানত সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী) কাজ থেকে বিরত রাখতে ১৬ ধারাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এই অধ্যাদেশসহ ১২২টি অধ্যাদেশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে পেশ করা হলেও, তা পাস হয়নি। ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল অবস্থায় থেকে যায়।
এ আইনের বিবরণে জানা যায়, ১৯৯০ সালে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের পরে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি অধ্যাদেশ দিয়ে চুয়াত্তরের আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করেন। যা ১৯৯১ সালে বিএনপি সংসদে পাস করেছিল। পরে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে ‘ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক’ (প্রধানত সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী) কাজ থেকে বিরত রাখতে ১৬ ধারাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এই অধ্যাদেশসহ ১২২টি অধ্যাদেশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে পেশ করা হলেও, তা পাস হয়নি। ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল অবস্থায় থেকে যায়।