অনলাইন
পীরগঞ্জে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ধর্মঘট, বিদ্যালয় অচল
পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে
২৩ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ২:৪৮ পূর্বাহ্ন
যে মাঠ শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত থাকার কথা, সেই বিদ্যালয় মাঠ এখন গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। গত ৩দিন ধরে কাগজ কলমে বিদ্যালয় খোলা থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। শিক্ষক শিক্ষিকার উপস্থিতিও হাতে গোনা। ঘটনাটি পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠে গরু ছাগল চরছে। অনেকে আবার ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত। বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলো খোলা থাকলেও কোন শিক্ষার্থী নেই। প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় বন্ধ। সহকারী শিক্ষক কক্ষে ৫/৬ জন শিক্ষক খোশ গল্পে মশগুল। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে কক্ষ থেকে বের হলেন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা (প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামের সহধর্মীনি) শেফালী বেগম। প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় বন্ধ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এমপি মহাদয়ের প্রোগ্রামে গেছেন, তাই অফিস বন্ধ। স্কুল খোলা নাকি বন্ধ এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শিক্ষক কক্ষে চলে যান।
স্কুলের বারান্দায় বই হাতে দাড়িয়ে থাকা কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞাস করতেই সমস্বরে বলে ওঠে ধর্মঘট চলছে। কিসের ধর্মঘট এমন প্রশ্নে জবাবে ক্রিকেট খেলায়রত ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মসফিকুজ্জামান আকাশ ও নাঈম হোসেন জানায়, ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন মন্ডলের অপসারণের দাবিতে এ ধর্মঘট। ইতোপূর্বে আমরা (ছাত্র-ছাত্রীরা) বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছি। একই দাবিতে ভেন্ডাবাড়ী গোল চত্ত্বর মাঠে কয়েক দফা অভিভাবক সমাবেশও হয়েছে। অভিভাবকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ৩ দিন ধরে শিক্ষার্থী শুন্য ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে অভিভাবক সবুজ মিয়া, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মালেক ও আজাচার আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে পকেট কমিটির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, বিধি বহিঃভূতভাবে প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের অর্থ আতœসাৎ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের অসদাচারণ, সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হলেও তাদের মুল্যায়ন না করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে এ ধর্মঘট। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, স্কুলের কমিটি গঠন বিধি মোতাবেক হয়েছে। স্পীকারের প্রোগ্রামে আছি, সাক্ষাতে কথা হবে বলেই ফোন কেটে দেন।
নব-নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য আমিরুল ইসলাম নিক্সন, ইকবাল হোসেন লিপ্ত, ইব্রাহীম মন্ডল ও শারমিন বেগম জানান, বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বিপুল ভোটে আমাদের নির্বাচিত করলেও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমাদের মূল্যায়ন না করে রাতের অন্ধকারে আবারো পূর্বের সভাপতিকে একই পদে কমিটিতে রাখায় ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা আন্দোলনে নামে। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রধান বলেন, শুধু প্রধান শিক্ষকের একঘেয়েমির কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তবে স্কুলের কমিটি গঠন কিংবা ভেঙ্গে দেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেন স্কুলে আসছে না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠে গরু ছাগল চরছে। অনেকে আবার ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত। বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষগুলো খোলা থাকলেও কোন শিক্ষার্থী নেই। প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় বন্ধ। সহকারী শিক্ষক কক্ষে ৫/৬ জন শিক্ষক খোশ গল্পে মশগুল। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে কক্ষ থেকে বের হলেন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা (প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামের সহধর্মীনি) শেফালী বেগম। প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় বন্ধ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এমপি মহাদয়ের প্রোগ্রামে গেছেন, তাই অফিস বন্ধ। স্কুল খোলা নাকি বন্ধ এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শিক্ষক কক্ষে চলে যান।
স্কুলের বারান্দায় বই হাতে দাড়িয়ে থাকা কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে জিজ্ঞাস করতেই সমস্বরে বলে ওঠে ধর্মঘট চলছে। কিসের ধর্মঘট এমন প্রশ্নে জবাবে ক্রিকেট খেলায়রত ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মসফিকুজ্জামান আকাশ ও নাঈম হোসেন জানায়, ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন মন্ডলের অপসারণের দাবিতে এ ধর্মঘট। ইতোপূর্বে আমরা (ছাত্র-ছাত্রীরা) বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছি। একই দাবিতে ভেন্ডাবাড়ী গোল চত্ত্বর মাঠে কয়েক দফা অভিভাবক সমাবেশও হয়েছে। অভিভাবকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ৩ দিন ধরে শিক্ষার্থী শুন্য ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে অভিভাবক সবুজ মিয়া, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মালেক ও আজাচার আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে পকেট কমিটির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, বিধি বহিঃভূতভাবে প্রধান শিক্ষক তার স্ত্রীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের অর্থ আতœসাৎ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের অসদাচারণ, সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হলেও তাদের মুল্যায়ন না করাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে এ ধর্মঘট। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, স্কুলের কমিটি গঠন বিধি মোতাবেক হয়েছে। স্পীকারের প্রোগ্রামে আছি, সাক্ষাতে কথা হবে বলেই ফোন কেটে দেন।
নব-নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য আমিরুল ইসলাম নিক্সন, ইকবাল হোসেন লিপ্ত, ইব্রাহীম মন্ডল ও শারমিন বেগম জানান, বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বিপুল ভোটে আমাদের নির্বাচিত করলেও দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আমাদের মূল্যায়ন না করে রাতের অন্ধকারে আবারো পূর্বের সভাপতিকে একই পদে কমিটিতে রাখায় ক্ষিপ্ত অভিভাবকরা আন্দোলনে নামে। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রধান বলেন, শুধু প্রধান শিক্ষকের একঘেয়েমির কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। রংপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তবে স্কুলের কমিটি গঠন কিংবা ভেঙ্গে দেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কেন স্কুলে আসছে না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।