বিনোদন
ছবি মুক্তির সংখ্যা ক্রমশই কমছে
কামরুজ্জামান মিলু
২৩ জুলাই ২০১৮, সোমবার, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
কয়েক বছর ধরেই চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষের মুখে সুখের হাসি নেই। নানান কারণে হিট, সুপারহিটের সংখ্যা কমে বাড়ছে ফ্লপ ছবির সংখ্যা। প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ টেকনিশিয়ানরা সারা বছর শ্রম দিলেও চলচ্চিত্র ব্যবসায় ঘাটতি বেড়েছে। হিসাব করে দেখলে সেরা দশটি চলচ্চিত্রও ব্যবসায়িক তালিকায় খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। একটা সময় বছরে ১১০টির মতো ছবি মুক্তি পেতো। ছবিগুলো মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি ভালো ব্যবসাও করতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে ছবি মুক্তির সংখ্যা ক্রমশই কমছে। গত বছর সব মিলে ৬৩টি ছবি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এ বছর এখন পর্যন্ত আমদানিসহ ‘পুত্র’ , ‘পাগল মানুষ’, ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’, ‘নূরজাহান’, ‘আমি নেতা হব’, ‘রাঙা মন’, ‘পাষাণ’, ‘মাটির প্রজার দেশে’, ‘কালের পুতুল’, ‘একটি সিনেমার গল্প’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘প্রেমের কেন ফাঁসি’, ‘আলতা বানু’, ‘বিজলী’, ‘চালবাজ’, ‘ধূসর কুয়াশা’, ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’, ‘সুপারহিরো’, ‘পোড়ামন টু’, ‘পাঙ্কু জামাই’, ‘কমলা রকেট’, ‘সুলতান: দ্য সেভিয়ার’, ‘বেঙ্গলি বিউটি’সহ ২৩টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। অথচ বছরের বারো মাসের মধ্যে সাত মাস প্রায় শেষ। প্রতি বছরই এখন ছবি মুক্তির সংখ্যা কমছে। এর কারণ হিসেবে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর মানবজমিনকে জানান,
আমাদের সময়ে বছরে ১১০টির মতো ছবিও মুক্তি পেয়েছে এবং বেশিরভাগ ছবি ব্যবসা করেছে। বর্তমানে ছবি মুক্তির সংখ্যাটা দিন দিন কমছে। এর অন্যতম কারণ প্রোডাকশন কমছে, ছবি নির্মাণ কম হচ্ছে। আর বর্তমানে নায়ক-নায়িকার সংকটও রয়েছে। শাকিব খান ঢাকার পাশাপাশি কলকাতায় কাজ করছে। হিরোরা সব সময় ইন্ডাস্ট্রি লিড করেছে। আর আমাদের এখানে বর্তমানে শাকিবের বাইরে অন্যান্য হিরো থাকলেও তাদের ছবি তেমন চলছে না। আর শাকিব তো কলকাতায় বেশি সময় দিচ্ছে। তাই সব মিলে ছবির প্রোডাকশন দিন দিন কমছে। ছবির পুঁজি ঠিকভাবে ফেরত না পেলে তো প্রযোজক ছবিতে লগ্নি করবে না এটাই স্বাভাবিক। এদিকে নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক এই প্রসঙ্গে জানালেন আরো কিছু তথ্য। তিনি বলেন, আমাদের কাছে চলচ্চিত্র হচ্ছে শিল্প আর প্রযোজকদের নিকট চলচ্চিত্র হচ্ছে ব্যবসায়িক জায়গা। যেখানে লাভ সেখানেই যাবেন একজন প্রযোজক। এটা তো হওয়াটা স্বাভাবিক। আমাদের ছবি তৈরি থেকে মুক্তি পর্যন্ত বিভিন্ন ঝামেলার কারণে প্রযোজক সিনেমা হল থেকে ঠিকমতো টাকা পাচ্ছে না। ছবি মানসম্মতভাবে সিনেমা হলে চলার পরও প্রযোজক টাকা না পেলে তো আর নতুন প্রোডাকশনে ইচ্ছুক হবেন না- এটাই বাস্তবতা। এর ফলে প্রোডাকশন কমে যাচ্ছে। আর একটা ছবি ঈদে বা অন্য উৎসবে সাধারণ প্রযোজক ঠিকমতো রিলিজ করতে পারছে না। কারণ, শাকিব খানের ছবি বা জাজের ব্যানারের কোনো ছবি ওই সময় রিলিজ হচ্ছে। তাই উৎসবে সাধারণ প্রযোজক ছবি মুক্তি দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব কারণেই ছবি নির্মাণ কমছে, ছবি মুক্তির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এদিকে প্রযোজক ও রাজধানীর সনি সিনেমা হলের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘পোড়ামন টু’ ছবিটি গত ঈদে মুক্তি পাওয়ার পর বেশ সফলতা পেয়েছে। তাই সিনেমা হল মালিক বা প্রযোজকদের মধ্যে হতাশা অনেকটাই কেটেছে এখন। আর শাকিবের ‘ভাইজান এলো রে’ সামনে সপ্তাহে মুক্তি পাবে। সব মিলে আমার মনে হয় ছবি মুক্তির সংখ্যা বা ব্যবসা নিয়ে যে হতাশা এ বছর তৈরি হয়েছে তা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। আমি চলচ্চিত্রশিল্প নিয়ে আশাবাদী।
আমাদের সময়ে বছরে ১১০টির মতো ছবিও মুক্তি পেয়েছে এবং বেশিরভাগ ছবি ব্যবসা করেছে। বর্তমানে ছবি মুক্তির সংখ্যাটা দিন দিন কমছে। এর অন্যতম কারণ প্রোডাকশন কমছে, ছবি নির্মাণ কম হচ্ছে। আর বর্তমানে নায়ক-নায়িকার সংকটও রয়েছে। শাকিব খান ঢাকার পাশাপাশি কলকাতায় কাজ করছে। হিরোরা সব সময় ইন্ডাস্ট্রি লিড করেছে। আর আমাদের এখানে বর্তমানে শাকিবের বাইরে অন্যান্য হিরো থাকলেও তাদের ছবি তেমন চলছে না। আর শাকিব তো কলকাতায় বেশি সময় দিচ্ছে। তাই সব মিলে ছবির প্রোডাকশন দিন দিন কমছে। ছবির পুঁজি ঠিকভাবে ফেরত না পেলে তো প্রযোজক ছবিতে লগ্নি করবে না এটাই স্বাভাবিক। এদিকে নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক এই প্রসঙ্গে জানালেন আরো কিছু তথ্য। তিনি বলেন, আমাদের কাছে চলচ্চিত্র হচ্ছে শিল্প আর প্রযোজকদের নিকট চলচ্চিত্র হচ্ছে ব্যবসায়িক জায়গা। যেখানে লাভ সেখানেই যাবেন একজন প্রযোজক। এটা তো হওয়াটা স্বাভাবিক। আমাদের ছবি তৈরি থেকে মুক্তি পর্যন্ত বিভিন্ন ঝামেলার কারণে প্রযোজক সিনেমা হল থেকে ঠিকমতো টাকা পাচ্ছে না। ছবি মানসম্মতভাবে সিনেমা হলে চলার পরও প্রযোজক টাকা না পেলে তো আর নতুন প্রোডাকশনে ইচ্ছুক হবেন না- এটাই বাস্তবতা। এর ফলে প্রোডাকশন কমে যাচ্ছে। আর একটা ছবি ঈদে বা অন্য উৎসবে সাধারণ প্রযোজক ঠিকমতো রিলিজ করতে পারছে না। কারণ, শাকিব খানের ছবি বা জাজের ব্যানারের কোনো ছবি ওই সময় রিলিজ হচ্ছে। তাই উৎসবে সাধারণ প্রযোজক ছবি মুক্তি দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব কারণেই ছবি নির্মাণ কমছে, ছবি মুক্তির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এদিকে প্রযোজক ও রাজধানীর সনি সিনেমা হলের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘পোড়ামন টু’ ছবিটি গত ঈদে মুক্তি পাওয়ার পর বেশ সফলতা পেয়েছে। তাই সিনেমা হল মালিক বা প্রযোজকদের মধ্যে হতাশা অনেকটাই কেটেছে এখন। আর শাকিবের ‘ভাইজান এলো রে’ সামনে সপ্তাহে মুক্তি পাবে। সব মিলে আমার মনে হয় ছবি মুক্তির সংখ্যা বা ব্যবসা নিয়ে যে হতাশা এ বছর তৈরি হয়েছে তা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। আমি চলচ্চিত্রশিল্প নিয়ে আশাবাদী।