বাংলারজমিন
পাবনায় মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
পাবনা সদর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে মা ও তার দুই বছরের শিশুসন্তানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম রুশী খাতুন (২৫) ও শিশু রোহান (২)। গতকাল বিকাল ৬টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ডের বোরোগীপাড়া গ্রামের সুজন আলীর স্ত্রী ও সন্তান। তাদের মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য। পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সন্তানকে নিয়ে মা রুশী খাতুন তাদের ঘরেই ছিলেন। এ সময় তার স্বামী সুজন আলী বাড়িতে ছিলেন না। দীর্ঘসময় ঘরের দরজা না খোলায় স্বজন ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে ঘরের দরজা খুলে মা-ছেলের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার ও একটি ধারালো চাকু জব্দ করে পুলিশ। এলাকাবাসী জানান, ঘরের মেঝেতে মায়ের ও চৌকির ওপর শিশুর লাশ পড়েছিল। মায়ের পায়ের কাছে রক্ত মাখা চাকু ছিল। সুজন আলীর স্ত্রী রুশী খাতুনের মানসিক সমস্যা ছিল, তিনি কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে কারা, কী কারণে তাদের হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকা- নাকি আত্মহত্যা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মানসিক সমস্যার কারণে শিশুকে গলা কেটে হত্যার পর মা নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাদের কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে- এ নিয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল।এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুশীর স্বামী সুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, স্বামী সুজন ঢাকাতে ড্রাইভারি করতেন। গত সপ্তাহে বাড়ি আসার পর মাছের ব্যবসা করছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে এ ঘটনার ক্লু উদঘাটন করা যাবে।
পুলিশ বলছে, স্বামী সুজন ঢাকাতে ড্রাইভারি করতেন। গত সপ্তাহে বাড়ি আসার পর মাছের ব্যবসা করছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে এ ঘটনার ক্লু উদঘাটন করা যাবে।