দেশ বিদেশ

সোহ্‌রাওয়ার্দীতে অনুমতি দিলে আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় জমায়েত হবে: মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার

২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিলে প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনার চেয়ে বড় জমায়েত হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, সরকারি খরচে বিশাল আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদেরকেও একইভাবে সমাবেশ করতে দিতে হবে। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিলে আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক বড় জমায়েত হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনার মধ্যদিয়ে প্রমাণ হবে তিনি এবং তার দল অনেক জনপ্রিয়। সুষ্ঠু ভোট হলেই কেবল কে বেশি জনপ্রিয় সেটা প্রমাণ করা যাবে। সবাই আশা করেছিল, এই জনপ্রিয়তা প্রমাণের জন্য গণসংবর্ধনা থেকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, ভল্টের সোনা চুরি এই সরকারের আমলে একটি অত্যন্ত বাজে দৃষ্টান্ত। এর আগে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে। তখন আগের গভর্নর ড. আতিউর রহমান নিজে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তেমনি বর্তমান গভর্নরেরও পদত্যাগ করা উচিত। তাহলে তার সম্মান বাঁচবে। প্রবীণ এ রাজনীতিক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা নেই। অথচ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদের ওপরও সরকারের মদতপুষ্ট ছাত্রলীগের কর্মীরা অমানবিক আচরণ শুরু করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এই হামলার মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয় এই সরকার একটি অসহনশীল সরকার। এই সরকার কোনো ধরনের সমালোচনা বরদাশত করতে পারে না। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল জড়িত না। কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনও জড়িত না। এটা সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত একটি আন্দোলন। সরকার যতই চেষ্টা করুক এটাকে ঠেকাতে পারবে না। কারণ এই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর আশা-আকাঙ্ক্ষা হলো- মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া। কারণ তাদের পিতামাতা এত কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েও তারা চাকরি পায় না কোটার কারণে। সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই কোটা সংস্কার করা যাবে না। গত ১১ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বললেন কোটা বাতিল করে দিলাম। এখন আবার তিনি বলছেন, কোটা পদ্ধতি থাকতে হবে। উনি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে বলছেন- রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে চাই- প্রধানমন্ত্রীকে সঠিকভাবে জানানো হয়নি। তাকে ভুল বুঝানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের এমন কোনো রায় নেই যেখানে বলা আছে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যাবে না। এই ধরনের কোনো রায় তারা দেখাতে পারবেন না। অথচ এই রায়ের অজুহাত দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেই ওয়াদা দিয়েছিলেন তা থেকে সরে আসছেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সালমান ওমর রুবেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status