দেশ বিদেশ
কৌশলী প্রচারণায় লিটন বুলবুল যাচ্ছেন দ্বারে দ্বারে
প্রতীক ওমর, রাজশাহী থেকে
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
তীব্র রোদ। গরমে বাইরে বের হওয়া মুশকিল। তবু থেমে নেই নেতাকর্মীরা। চলছে ভোটের প্রচারণা। দুই মেয়রের প্রচার সঙ্গী শতাধিক দলীয় কর্মী। নগরীর এ প্রান্ত ও প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন তারা। রাজশাহীতে ভোটের মাঠে মোট পাঁচজন মেয়র পদে লড়ছেন। তারা হলেন- জনসংহতি সমর্থিত প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন) হাবিবুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শরিফুল ইসলাম। তার মধ্যে মূল লড়াই হবে নৌকা আর ধানের শীষের মধ্যে। বাকি তিন প্রার্থী আলোচনার বাইরে। যদিও তারাও স্বল্প পরিসরে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাইক্রোবাসযোগে নগরীর জনবহুল বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। ভোট চাচ্ছেন। দিচ্ছেন নগরীর উন্নয়নের বিভিন্ন আশ্বাস। লিটন তার নির্বাচনী প্রচারে কিছু কৌশল অবলম্বন করছেন। তিনি সবার ঘরে ঘরে না গেলেও কয়েক শ’ তরুণকে প্রচারে জোরালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। লিটনের পক্ষ থেকে এসব তরুণ লিফলেট নিয়ে প্রত্যেকের বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী লিটন রাজশাহীর তরুণদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, দীর্ঘদিন রাজশাহীর বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিম্ন পোস্টের কোনো নিয়োগ হয়নি। রাজনৈতিক কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিকসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে। তিনি নির্বাচিত হলে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করবেন এবং বেকার তরুণদের এসব জায়গায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। এমন আশ্বাসের ফলে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার শতশত তরুণ নৌকার প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। নগরীর অলকার মোড়, সাহেব বাজার, বিনোদপুর, পদ্মাপাড় এলাকায় কথা হয় বেশ কয়েকজন তরুণের সঙ্গে। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল, আবুল কালাম, ফয়সাল, সোহরাব হোসেন জানায়- গাজীপুর-খুলনার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এমন বিশ্বাস তারা পোষণ করেন। ফলে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য তারা এখানেও নৌকার পক্ষে রায় দেবেন। তারা জানায়, নৌকা বিজয়ী হলে তাদের চাকরির অভাব হবে না। কোথাও না কোথাও তাদের চাকরির সুযোগ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন লিটন সাহেব। অপরদিকে, ধানের শীষের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল হেঁটে নগরবাসীর দ্বারে দ্বারে পৌঁছে ভোট চাচ্ছেন। অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আবারো তাকে মেয়র পদে আসার সুযোগ দিতে ভোটারদের অনুরোধ করছেন। তিনিও রাজশাহী নগরকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর নানা পরিকল্পনার কথা বলছেন ভোটারদের কাছে। সকাল থেকে তিনিও তার প্রচারণা শুরু করেন। গভীর রাত পর্যন্ত হেঁটেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার সঙ্গেও দলীয় নেতাকর্মীর বহর। তবে, নৌকার কর্মীদের মতো আলাদাভাবে ধানের শীষের কর্মীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না। এর কারণ হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিপক্ষের নানা ধরনের হুমকি ধামকি। এমনকি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে বিএনপি কর্মীদের হয়রানি করার।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের পোস্টার ছিঁড়েছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। আবার আমাদের নামেই কেস করেছে। সুতরাং পুলিশ যতই বলুক তারা নিরপেক্ষ আমরা সেটা মানতে পারছি না। এ কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে মাঠে কাজ করতে পারছে না। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক নিজে উপজেলা চেয়ারম্যানদের টেলিফোন করে রাজশাহী শহরে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।
নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাইক্রোবাসযোগে নগরীর জনবহুল বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। ভোট চাচ্ছেন। দিচ্ছেন নগরীর উন্নয়নের বিভিন্ন আশ্বাস। লিটন তার নির্বাচনী প্রচারে কিছু কৌশল অবলম্বন করছেন। তিনি সবার ঘরে ঘরে না গেলেও কয়েক শ’ তরুণকে প্রচারে জোরালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। লিটনের পক্ষ থেকে এসব তরুণ লিফলেট নিয়ে প্রত্যেকের বাসায় পৌঁছে যাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী লিটন রাজশাহীর তরুণদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, দীর্ঘদিন রাজশাহীর বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিম্ন পোস্টের কোনো নিয়োগ হয়নি। রাজনৈতিক কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিকসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে। তিনি নির্বাচিত হলে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করবেন এবং বেকার তরুণদের এসব জায়গায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। এমন আশ্বাসের ফলে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার শতশত তরুণ নৌকার প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। নগরীর অলকার মোড়, সাহেব বাজার, বিনোদপুর, পদ্মাপাড় এলাকায় কথা হয় বেশ কয়েকজন তরুণের সঙ্গে। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল, আবুল কালাম, ফয়সাল, সোহরাব হোসেন জানায়- গাজীপুর-খুলনার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়ী হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এমন বিশ্বাস তারা পোষণ করেন। ফলে রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য তারা এখানেও নৌকার পক্ষে রায় দেবেন। তারা জানায়, নৌকা বিজয়ী হলে তাদের চাকরির অভাব হবে না। কোথাও না কোথাও তাদের চাকরির সুযোগ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন লিটন সাহেব। অপরদিকে, ধানের শীষের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল হেঁটে নগরবাসীর দ্বারে দ্বারে পৌঁছে ভোট চাচ্ছেন। অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আবারো তাকে মেয়র পদে আসার সুযোগ দিতে ভোটারদের অনুরোধ করছেন। তিনিও রাজশাহী নগরকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর নানা পরিকল্পনার কথা বলছেন ভোটারদের কাছে। সকাল থেকে তিনিও তার প্রচারণা শুরু করেন। গভীর রাত পর্যন্ত হেঁটেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার সঙ্গেও দলীয় নেতাকর্মীর বহর। তবে, নৌকার কর্মীদের মতো আলাদাভাবে ধানের শীষের কর্মীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না। এর কারণ হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিপক্ষের নানা ধরনের হুমকি ধামকি। এমনকি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে বিএনপি কর্মীদের হয়রানি করার।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আমাদের পোস্টার ছিঁড়েছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। আবার আমাদের নামেই কেস করেছে। সুতরাং পুলিশ যতই বলুক তারা নিরপেক্ষ আমরা সেটা মানতে পারছি না। এ কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে মাঠে কাজ করতে পারছে না। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক নিজে উপজেলা চেয়ারম্যানদের টেলিফোন করে রাজশাহী শহরে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।