বিশ্বজমিন
ভারতের সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ
কলকাতা প্রতিনিধি
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
ভারতের সংসদে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব শুক্রবার রাতে কণ্ঠভোটে খারিজ হয়ে গেছে। প্রত্যাশিতভাবে জয় পেয়েছে মোদি সরকার। ১২ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর ভারতীয় সময় রাত ১১টা থেকে শুরু হয়েছিল ভোটাভুটি। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে পড়েছে ১২৬টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়েছে ৩২৫টি ভোট। মোট ৪৫১ জন ভোট দিয়েছেন। শিবসেনা ও বিজেডি ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। পরাজয় হলেও এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীরা সংসদে মোদি সরকারের কাজের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। দেশের সামনে তুলে ধরেছেন মোদি সরকারের চার বছরের ‘অপশাসন’-এর তালিকা। সংখ্যায় হারানো মুশকিল জেনেও তেলেগু দেশম দলের পাশাপাশি কংগ্রেস এবং সিপিআইএম অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। গত চার বছরে এবারই প্রথম স্পিকার সুমিত্রা মহাজন তেলেগু দেশমের অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে শুক্রবার আলোচনা ও ভোটাভুটির দিন ধার্য করেছিলেন। বিজেপিও এই আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, গত চার বছরে সরকার অনেক কাজ করলেও বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কাদা ছুড়ছে। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর সারাদিন বিতর্কের পর রাতে জবাবি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের ‘নেতিবাচক’ রাজনীতিকে তার আক্রমণের নিশানা করেছিলেন। তিনি তার ভাষণে বিজেপির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে শেষ কথা বলবে জনতা জনার্দন। কিন্তু বিরোধীরা তাদের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছেন। তাই লম্বা-চওড়া দাবি করছেন। এদিন অধিবেশনের শুরু থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা আক্রমণে সংসদ সরব ছিল। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তার ভাষণে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় ১৫ লক্ষ টাকা? প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এটা প্রথম ধাপ্পা। দেশের দু’কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। সেই কর্মসংস্থানের কী হলো? বাস্তবে দেশের চার লাখ মানুষের চাকরি হয়েছে। কখনও এরা (বিজেপি) বলেন, পকোড়া বানাও, পরে বলেন, ব্যবসা কর, দোকান খোলো। এটা দ্বিতীয় ধাপ্পা। এই ভাবে একে একে বিমুদ্রাকরণ, দুর্নীতি, রাফায়ে জেট ক্রয় ও ডোকালাম ইত্যাদি নানা ইস্যুতে মোদিকে চেপে ধরেছিলেন রাহুল। তবে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে হজম করতে না পেরে বিজেপি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে। বিজেপি নেতা তথা সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেন, অধিবেশনে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাখার জন্য রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনবেন বিজেপি সাংসদরা।