বাংলারজমিন
শিশু গৃহকর্মীর ওপর বর্বরতা
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
আট বছরের শিশু মাহি। যে বয়সে লেখা-পড়া আর খেলাধুলা করে তার সময় পার করার কথা। কিন্তু সেই বয়সে ঝিয়ের কাজ করছে শিশুটি। এমনতিইে মায়া লাগার কথা। এতটুকু একটি বাচ্চা মেয়ে গৃহপরিচারিকার কাজ করছে, শুধু পেটের তাগিদে। দু-বেলা দু-মুঠো ভাতের জন্য। অথচ নিষ্ঠুর দম্পতি মেয়েটিকে দিনের পর দিন নির্যাতন করে। কখনো চুলের মুঠি ধরে পিটুনি, কখনো শরীরের গরম পানি ঢেলে দেয়, আবার কখনো গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। শিশুটির মুখমণ্ডলে ও শরীরের দিকে তাকালে এমনই নির্মম ও ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে। এক পর্যায়ে শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা শুক্রবার গভীর রাতে ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকায় ওই দম্পতির কবল থেকে পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির শরীরের আঘাতের ভয়াবহা দেখে এলাকাবাসী ওই দম্পত্তিকে গণধোলাই দেয়। পুলিশ গৃহকর্তা আতাউল্লাহ ও তার স্ত্রী উর্মি আক্তারকে আটক করে এবং আহত শিশু মাহিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এলাকাবাসী জানান, ফতুল্লার
পূর্ব ইসদাইর এলাকায় আতাউল্লাহর বাসায় শিশু মাহি গৃহকর্মীর কাজ করতো। প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করে আসছিলেন আতাউল্লাহ ও তার স্ত্রী উর্মী আক্তার। শুক্রবার শিশুটির চিৎকার শুনে বাড়ির কাছে গিয়ে আশপাশের লোকজন আতাউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তারা স্বামী-স্ত্রী এলাকাবাসীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর তারা থানায় খবর দিয়ে পুলিশ এনে শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় নির্যাতনের দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী দম্পতিকে গণধোলাই দেয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, কারণে অকারণে শিশুটির ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এলাকাবাসী সঠিক সময়ে থানায় না গেলে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, শিশুটির বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হবে এবং নির্যাতনকারী দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
পূর্ব ইসদাইর এলাকায় আতাউল্লাহর বাসায় শিশু মাহি গৃহকর্মীর কাজ করতো। প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করে আসছিলেন আতাউল্লাহ ও তার স্ত্রী উর্মী আক্তার। শুক্রবার শিশুটির চিৎকার শুনে বাড়ির কাছে গিয়ে আশপাশের লোকজন আতাউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তারা স্বামী-স্ত্রী এলাকাবাসীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর তারা থানায় খবর দিয়ে পুলিশ এনে শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় নির্যাতনের দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী দম্পতিকে গণধোলাই দেয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, কারণে অকারণে শিশুটির ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এলাকাবাসী সঠিক সময়ে থানায় না গেলে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, শিশুটির বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হবে এবং নির্যাতনকারী দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।