বাংলারজমিন
রংপুরে ছাত্রীনিবাসে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
রংপুরে ভুয়া জন্মদিন পালনের কথা বলে বোরখা পরে ছাত্রীনিবাসে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তাজকীর হোসেন (৩২) এবং দুলালী আকতার (২৮)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. যাবিদ হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। অভিযুক্ত তাজকীর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মাদারপুর খিয়ারছড়া এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে এবং দুলালী একই এলাকার খিয়াচড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিদের ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরের লালবাগ খামারপাড়া এলাকায় শাকিব টাওয়ার নামে একটি বেসরকারি ছাত্রীনিবাসে থেকে রংপুর সরকারি কলেজে বাংলা তৃতীয় বর্ষে পড়ালেখা করতেন দুলালী আকতার। কারমাইকেল কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র তাজকীর হোসেনকে পছন্দ করতেন দুলালী। কিন্তু তাজকীর হোসেন দুলালীর বান্ধবী কারমাইকেল কলেজের বাংলা তৃতীয় বর্ষের ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর কাছে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তীকালে তাজকীর দুলালীর ওই বান্ধবীকে ধর্ষণে সহায়তার শর্তে দুলালীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রাজি হয়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের ভুয়া জন্মদিন পালনের কথা বলে ২০১০ সালের ২১শে ডিসেম্বর দুপুরে দুলালী তার বান্ধবী ওই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে আনেন। শীতকালীন ছুটির কারণে ওই সময় ছাত্রীনিবাসে দুলালী ছাড়া আর কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পর সেখানে বোরখা পরে ছাত্রীর ছদ্মবেশে আসেন কারমাইকেল কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র তাজকীর হোসেন। দুজনকে কক্ষে রেখে দুলালী বাইরে বেরিয়ে এসে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পাহারা দেন। এ সুযোগে তাজকীর ওড়না দিয়ে ছাত্রীটির মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে ওই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করা হয়। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান তাজকীর।
লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা বিষয়টি কাউকে জানাননি। পরের দিন তাজকীর ফের ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী রংপুর কোতোয়ালি থানায় তাজকীর ও দুলালীসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরের লালবাগ খামারপাড়া এলাকায় শাকিব টাওয়ার নামে একটি বেসরকারি ছাত্রীনিবাসে থেকে রংপুর সরকারি কলেজে বাংলা তৃতীয় বর্ষে পড়ালেখা করতেন দুলালী আকতার। কারমাইকেল কলেজে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র তাজকীর হোসেনকে পছন্দ করতেন দুলালী। কিন্তু তাজকীর হোসেন দুলালীর বান্ধবী কারমাইকেল কলেজের বাংলা তৃতীয় বর্ষের ধর্ষিতা ওই ছাত্রীর কাছে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তীকালে তাজকীর দুলালীর ওই বান্ধবীকে ধর্ষণে সহায়তার শর্তে দুলালীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রাজি হয়।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের ভুয়া জন্মদিন পালনের কথা বলে ২০১০ সালের ২১শে ডিসেম্বর দুপুরে দুলালী তার বান্ধবী ওই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে আনেন। শীতকালীন ছুটির কারণে ওই সময় ছাত্রীনিবাসে দুলালী ছাড়া আর কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পর সেখানে বোরখা পরে ছাত্রীর ছদ্মবেশে আসেন কারমাইকেল কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র তাজকীর হোসেন। দুজনকে কক্ষে রেখে দুলালী বাইরে বেরিয়ে এসে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পাহারা দেন। এ সুযোগে তাজকীর ওড়না দিয়ে ছাত্রীটির মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং গোপনে ওই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করা হয়। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওচিত্র বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখান তাজকীর।
লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা বিষয়টি কাউকে জানাননি। পরের দিন তাজকীর ফের ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে নির্যাতিতা ওই ছাত্রী রংপুর কোতোয়ালি থানায় তাজকীর ও দুলালীসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।