বিশ্বজমিন
রাখাইনে পাইলট প্রকল্প, থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
আগামী আট মাসের মধ্যে রাখাইন রাজ্যে বড় ধরনের বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে মিয়ানমার সরকার। এমন একটি পাইলট পরিকল্পনায় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে তারা থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অব বিজনেস ইকোনমিক্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিইআরডি) ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে তাতে শুধু স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নই হবে না। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্তে বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। মিয়ানমারের অনলাইন দ্য ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী ড. উইন মায়াত আই। তিনি একই সঙ্গে কমিটি ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য রিকমেন্ডেশনস অন রাখাইন স্টেটের চেয়ারম্যানও। তিনিই দ্য ইরাবতীকে ওই পরিকল্পনা সম্পর্কে জানিয়েছেন ফোনে। তাতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ১৭ই জুলাই কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. সুরাকিয়ার্ট সাথিরাথাই এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিয়ান্ট, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি, মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের চেয়ারম্যান ইউ থাউং তুন ও ড. উইন মায়াত আইয়ের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। বলা হয়েছে, ড. উইন মায়াত আইয়ের কমিটিকে সেই কাজ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা রাখাইন বিষয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের এডভাইজরি কমিশন সুপারিশ করেছে। উন্নয়ন, সংযোগ সৃষ্টি, সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা সৃষ্টি করা এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে থাইল্যান্ডের শীর্ষ স্থানীয় গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান আইবিইআরডি। এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাথিত লেনপোংপান সাক্ষাত করেছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে। ড. উইন মায়াত আইয়ের মতে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকগুলোতে। এতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, মৎস্য খাত, ওয়্যারহাউজ ব্যবসা সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করায় সমর্থন প্রকাশ করেছেন আইবিইআরডির প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া একটি ও-ওয়ালেট প্রতিষ্ঠা এবং অন্যান্য উপায়ে অর্থ স্থানান্তরের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া তদারক করতে মংডু শহরে যাওয়ার কথা রয়েছে মিয়ানমার সরকারের কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের দু’জন প্রতিনিধির। তাদের লক্ষ্য থাকবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু করা। ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে মিয়ানমারকে সহায়তা করতে চায় থাইল্যান্ড।