দেশ বিদেশ
লাশ দাফনের ৩ মাস পর জানা গেল শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
লাশ দাফনের তিন মাস পর জানা গেল ১০ বছরের শিশু সানজিদাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা দুই নম্বর গেটের ৭২/২/এম নম্বর বাড়িতে। ওই বাড়িতে ফুলকলি হাইস্কুলের শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনির কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সানজিদা। শিশু সানজিদাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তার শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মণি ও তার স্বামী মুর্শেদ আলমকে গতকাল গ্রেপ্তার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। গত ২১শে এপ্রিল শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মণির বাসা থেকে শিশু সানজিদার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছিলো। মণি দাবি করেছিলেন, খেলারছলে শিশুটির গলায় ফাঁস লেগে যায়। তিন মাস পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের পর হত্যার আলামত পান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মমর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশু সানজিদার শিক্ষিকা ও তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হলেও এখন হত্যা মামলা দায়ের হবে বলে জানান তিনি। গত ২১শে এপ্রিল বিকাল চারটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার ফুলকলি হাইস্কুলের শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মণির বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় সানজিদা। পরে সন্ধ্যায় ওই বাসার একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সানজিদার পিতা একজন ছোট ট্রাকচালক। তার মা গৃহিণী। উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নুসরাত জাহান মণি ও তার স্বামী মুর্শেদ আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের রাজাপুর গ্রামে।
নিহত সানজিদার পিতা একজন ছোট ট্রাকচালক। তার মা গৃহিণী। উত্তর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নুসরাত জাহান মণি ও তার স্বামী মুর্শেদ আলমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের রাজাপুর গ্রামে।