বাংলারজমিন
রাসিক ওয়ার্ড নং-২
মাঠে তিন দলেরই দাপুটে প্রার্থী
আসলাম-উদ-দৌলা, রাজশাহী থেকে
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। মোট ১৩ হাজার ৪৪২ ভোটারের দুই নম্বর ওয়ার্ড। এখানে কাউন্সিলর পদে মাঠে নেমেছেন পাঁচ প্রার্থী। যাদের তিন জনই কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আছে বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক প্রার্থী। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম। তবে স্থানীয় ভোট হওয়ায় দলীয় ভোটের একটি অংশ বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। ভোটারা বলছেন, এবার মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নজরুল ইসলাম এবং সাবেক কাউন্সিলর নোমানুল ইসলাম নোমানের মধ্যে। নোমানুল ইসলাম নোমান ২০০৮ সাথে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার জামায়াত থেকে মোখলেসুর রহমানকে প্রার্থী করায় তিনি বেকায়দায় আছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত নজরুল ইসলামও ২০০৩ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। জামায়াত প্রার্থী মাখলেসুর রহমান কারাগারে থেকে নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন। জামায়াতের বড় ভোট ব্যাংককে কাজে লাগিয়ে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনতে তারা এলাকায় ভোটারদের মাঝে কাজ করছেন। একইভাবে স্বস্তিতে নেয় বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব সাঈদ টুকু। বিএনপি থেকে আবুল কালাম আজাদ এবং রবিউল ইসলাম নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। এই ওয়ার্ডে কোনা প্রার্থীই একবারের বেশি নির্বাচিত হতে পারেন নি। এবার সেই সমীকরণ পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা আগামী দিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়ার্ডকে সাজানো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দোয়ারে দোয়ারে যাচ্ছেন। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ভাঙ্গাচোরা রাস্তা-ঘাটও জলাবদ্ধতা এই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রধান সমস্যা। এই সকল সমস্যা নিরসনে যাকে যোগ্য মনে হবে তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এলাকাবাসী। আগামীতে যিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাকে নাগরিক সেবার পাশাপশি উন্নয়নমূলক কাজকে অগ্রাধিক দিতে হবে জানান স্থানীয় বাসিন্দা অধ্যক্ষ ইব্রাহিম হোসেন। বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব সাঈদ বলেন, ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি। মামলা-হয়রানি, অর্থ বরাদ্দ কম পাওয়ায় কিছু কাজ বাকি আছে। আগামীতে সুযোগ পেলে সে অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই।’ সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ সমর্থিত নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই নম্বর ওয়ার্ড নগরীর অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছে। বর্তমানে এই ওয়ার্ডে বিদ্যুতের পোলের সমস্যা প্রকট- এখানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে অনেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আমি নির্বাচিত হলে এটি গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা হবে।’ সাবেক কাউন্সিলর নোমানুল ইসলাম নোমান বলেন, ‘আমি এলাকার মানুষের মাঝেই থাকি। তারা আমাকে ভালোবাসে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে পারবো।’