বাংলারজমিন
রাঙ্গামাটিতে ভুয়া এক্সপার্ট দিয়ে চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার
আলমগীর মানিক, রাঙ্গামাটি থেকে
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
অনগ্রসর ও দুর্গমতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রোগ নির্ণয়ে অত্যাধুনিক পরীক্ষাগার রয়েছে এবং অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কথা চাউর করে প্রচার ও সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা দিয়ে গড়ে ওঠা এই সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে হাজারো রোগী।
রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে গড়ে উঠা এই সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মধ্যে অধিকাংশেরই নেই কোনো নির্দিষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন প্যাথলজিস্ট। এছাড়াও একই ব্যক্তি রক্ত সংগ্রহ করে সে নিজেই আবার সেগুলো পরীক্ষা করছে। তিনিই আবার সেই পরীক্ষা রিপোর্টগুলোর অপর পৃষ্ঠায় দিয়ে দিচ্ছেন ওষুধের প্রেসক্রিপশন। এমতাবস্থায় হ-য-ব-র-ল সিস্টেমের মাঝে চলছে পাহাড়ের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা।
রোববার দুপুরে জেলার কাপ্তাই উপজেলা সদরে পরিচালিত এক অভিযানেও এমনই চিত্র উঠে আসে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত এই ভ্রাম্যমাণ অভিযানে দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি আরেকটিকে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনকারী ইউএনও মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো লাইসেন্স না থাকায় কাপ্তাই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল প্র্যাকটিস ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০ এ অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযানের সময় অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তালা মেরে মালিক পক্ষ সটকে পড়ে।
রুহুল আমিন এই প্রতিবেদককে জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাইসেন্স থাকার কথা থাকলেও কাপ্তাইয়ের অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো লাইসেন্স। ছয় ফিট বাই আট ফিট কিংবা তার চেয়ে বেশি এমন একটা কক্ষ নিয়ে দিনের পর দিন চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগ নির্ণয়। জনবল সব মিলিয়ে একজন। যিনি টেস্ট করেন তিনিই সব। আর কেউ নেই। নেই রিপোর্ট কনসালট্যান্টের স্বাক্ষর। অবাক করার ব্যাপার হলো এই রিপোর্ট দেখিয়েই কেউ কেউ ওষুধ কিনছেন ফার্মেসি থেকে আর ফার্মেসিগুলোও সমানে বিক্রি করছে ওষুধ। রিপোর্টের উল্টা পিঠে আবার প্রেসক্রিপশন দেয়া আছে। এই প্রেসক্রিপশন কে লিখেছেন তার নাম-ঠিকানা কিছুই উল্লেখ নেই।
রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে গড়ে উঠা এই সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মধ্যে অধিকাংশেরই নেই কোনো নির্দিষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন প্যাথলজিস্ট। এছাড়াও একই ব্যক্তি রক্ত সংগ্রহ করে সে নিজেই আবার সেগুলো পরীক্ষা করছে। তিনিই আবার সেই পরীক্ষা রিপোর্টগুলোর অপর পৃষ্ঠায় দিয়ে দিচ্ছেন ওষুধের প্রেসক্রিপশন। এমতাবস্থায় হ-য-ব-র-ল সিস্টেমের মাঝে চলছে পাহাড়ের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা।
রোববার দুপুরে জেলার কাপ্তাই উপজেলা সদরে পরিচালিত এক অভিযানেও এমনই চিত্র উঠে আসে। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত এই ভ্রাম্যমাণ অভিযানে দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি আরেকটিকে আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনকারী ইউএনও মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো লাইসেন্স না থাকায় কাপ্তাই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল প্র্যাকটিস ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০ এ অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযানের সময় অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তালা মেরে মালিক পক্ষ সটকে পড়ে।
রুহুল আমিন এই প্রতিবেদককে জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাইসেন্স থাকার কথা থাকলেও কাপ্তাইয়ের অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো লাইসেন্স। ছয় ফিট বাই আট ফিট কিংবা তার চেয়ে বেশি এমন একটা কক্ষ নিয়ে দিনের পর দিন চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রোগ নির্ণয়। জনবল সব মিলিয়ে একজন। যিনি টেস্ট করেন তিনিই সব। আর কেউ নেই। নেই রিপোর্ট কনসালট্যান্টের স্বাক্ষর। অবাক করার ব্যাপার হলো এই রিপোর্ট দেখিয়েই কেউ কেউ ওষুধ কিনছেন ফার্মেসি থেকে আর ফার্মেসিগুলোও সমানে বিক্রি করছে ওষুধ। রিপোর্টের উল্টা পিঠে আবার প্রেসক্রিপশন দেয়া আছে। এই প্রেসক্রিপশন কে লিখেছেন তার নাম-ঠিকানা কিছুই উল্লেখ নেই।