বাংলারজমিন

কোম্পানীগঞ্জে নির্মাণের ২ মাসেই বেহাল সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে

২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গ্রামীণ মাটির রাস্তা সমূহ টেকসই করণের লক্ষ্যে, এইচবিবি করণ প্রকল্পের আওতায়, সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের আর্দশ সমাজ জামে মসজিদ ও মধ্য চরকাঁকড়া বিদ্যালয় সংলগ্ন ২টি নতুন কাচা রাস্তার প্রায় ১৫০০ মিটার (এইচবিবি) করণে সিডিউল অবমাননা করে, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করে ঠিকাদার। কিন্তু সড়কটি নির্মাণের ২ মাসের মধ্যেই একাধিকস্থানে ইট ভেঙে যায়, ইট ডেবে যায়, ইট উঠে যায়, একাধিকস্থানে ইটের এজেন্ট ভেঙে যায়। ফলে গ্রামীণ সড়ক টেকসই হওয়ার পরিবর্তে বর্তমানে বেহাল সড়কটিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে দারুণ দুর্ভোগ, যন্ত্রণা ও ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন বেহাল সড়কটিতে চলাচলকারী এলাকাবাসীকে ঝাঁকুনি ও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী শুধু অভিযোগ নয়, ক্ষোভও প্রকাশ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রথম থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করছে। এমন অভিযোগ উঠলেও, তা কানে তুলেনি কেউ। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, শর্তানুযায়ী ছয় ইঞ্চি পুরু বালুর উপর এক নম্বর ইট বিছানোর কথা ছিল। কিন্তু সড়কটিতে ফ্ল্যাট ছলিং এবং এইচবিবি করণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে এবং সিডিউল অনুযারী বালু ব্যবহার করেননি ঠিকাদার। এমনকি এইচবিবি শেষে ছলিয়য়ের উপরে বালু ব্যবহার কথা থাকলেও ঠিকাদার মাত্র ২০ মিটার সড়কে ছলিংয়ের উপরে বালু ব্যবহার করে। কিন্তু সড়কের বৃহৎ অংশে ছলিংয়ের উপরে বালু পর্যন্ত ব্যবহার করেননি। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.ফজলুল করিম’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সড়কের যে রকম বেহাল অবস্থার কথা আপনি বলছেন, সড়কের সেই রকম বেহাল অবস্থা হয়নি। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সূত্রে আরো জানা যায়, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পায় ঠিাকাদারি প্রতিষ্ঠান বাবলু এন্ড ব্রাদার্স এবং দুইটি সড়কের এইচবিবি করণে প্রকল্প ব্যয় আনুমানিক ৪৫ লাখ টাকা। তিনি আরো দাবি করেন,এ প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু এলাকাবাসী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দাবি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে বলেন, কাজ শেষ হয়েছে প্রায় এক থেকে দুই মাস হচ্ছে। বরং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে শুরু থেকেই নিম্নমানের সড়ক নির্মাণের সুযোগ পায় ঠিকাদার এবং এর ফলাফল সড়ক নির্মাণের ২ মাসের মাথায় সড়কটির এ বেহাল অবস্থা এবং তদারকির গাফিলতির অভাবে জলে যাচ্ছে সরকারের ৪৫ লাখ টাকা। এ কাজের প্রকল্প ব্যয় ৩০ লাখ টাকা। এ প্রতিবেদক সড়কটি নিম্নমানের হয়েছে বলে ঠিকাদারকে প্রশ্ন করলে, তিনি নিজে কথা বলতে অসম্মতি জানান। এ সময় তিনি আরো বলেন, ভালো বা খারাপ কাজের সার্টিফিকেট দিবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আপনি তার সাথে কথা বলেন। তবে ঠিকাদার এবং তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দাবি করেন, কাজ শেষ হয়নি, ঠিকাদার দাবি করেন, কাজ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status